রাজধানীতে ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে এক নারীর মর্মান্তিক মৃত্যু

রাজধানী ঢাকায় ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে এক নারী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার সকালের দিকে ধানমণ্ডিতে ছিনতাইয়ের পর প্রাইভেটকারের চাপায় ওই মহিলা মারা যান। আশপাশের সিসিটিভি'র ফুটেজ দেখে অপরাধীকে শনাক্তের চেষ্টা করছে পুলিশ।

শুক্রবার বরিশাল থেকে ঢাকায় এসে কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য স্বামীর সঙ্গে ধানমন্ডি ৭ নম্বরে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। জানা গেছে, রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি প্রাইভেট কার হেলেনার হাতের ব্যাগটি টান দেয়। তখন ব্যাগটি ওই মহিলা শক্ত করে ধরে থাকায় গাড়িটি খানিকটা পথ তাকে টেনে নিয়ে যায়। এরপর ব্যাগটি কেড়ে নিয়ে ভুক্তভোগী হেলেনাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়।

হতভাগী হেলেনার স্বামী মনিরুল ইসলাম মন্টু বলেন, 'প্রাইভেট কারটি ছিল সাদা রঙের। প্রাইভেট কারটি দীর্ঘসময় সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল। গাড়িটিতে মোট দুইজনকে দেখেছি। এরমধ্যে ড্রাইভিং সিটে বসে থাকা লোকটি হেলেনার ব্যাগ ধরে টান দেয়। পরে হেলেনা ব্যাগটি না ছাড়লে তাকে টেনে-হিঁচড়ে নিতে থাকে। এরপর একপর্যায়ে হেলেনা পড়ে গেলে প্রাইভেটকারটি তাকে চাপা দিয়ে ব্যাগটি নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই হেলেনা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।'

ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে কাঁদোকাঁদো হয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, 'ব্যাগটা টানার পরই তার হাতটা গাড়ির সামনে গ্লাসের ফাঁকে ঢুকে গেছে। তখন সে হাত বের করতেও পারছে না আবার ব্যাগও নিতে পারছে না। এরপর বাড়িটি বাঁক নিলে হেলেনা নিচে পড়ে যায়। এরপর সেই গাড়িটি হেলেনার মাথার ওপর দিয়ে চলে যায়।' নিহত হেলেনাকে আজই তার গ্রামের বাড়ি বরিশালে নিয়ে যাওয়ার কথা জানান তিনি।

জানা গেছে, এই ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে চিকিৎসক ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, 'মাথায় গুরুতর আঘাতে মারা গেছেন হেলেনা।'

প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানান, ধানমন্ডিতে ৭ নম্বর ছাড়াও ২৭ নং নতুন ও পুরাতন রোডে কয়েকদিন পরপরই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। আজ রাজধানীর দয়াগঞ্জেও ছিনতাই ঘটনায় প্রাণ হারান একজন। একই দিনে ছিনতাইকারীর কবলে পরে দুইজন মৃত্যুর ঘটনায় জনমনে বেড়েছে অসন্তোষ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবশ্য ছিনতাইকারীদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেয়ার ব্যাপারে নিজেদের শক্ত অবস্থানের কথা তুলে ধরেছেন।