‘এই টেস্টে আমাদের টিকে থাকা কঠিন’

দলের করা ১৯৯ ওভার তিন বলের মধ্যে তিনিই হাত ঘুরিয়েছেন ৬৭ ওভার তিন বলে। নিয়েছেন চারটি উইকেট। খরচ করেছেন ২১৯ রান। এর মধ্যে হয়ে গেছে অপ্রত্যাশিত দুটি রেকর্ড। এরপর দিন শেষের সংবাদ সম্মেলনে এসে তাইজুল ইসলামকে কথা বলতে হলো চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের টিকে থাকার সম্ভাবনা নিয়েও।

চার উইকেট নিয়ে তিনিই দলের সেরা বোলার। কিন্তু এই সেরা হওয়াটা আসলে কোনোভাবেই উদযাপনের উপলক্ষ্য হাতে পারলো না। কারণ দুই লজ্জার রেকর্ড। টেস্টের এক ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ওভার বোলিংয়ের রেকর্ড ছিলো সাকিব আল হাসানের। তিনি এক ইনিংসে করেছিলেন ৬৬ ওভার।

চট্টগ্রামে ৬৭ ওভার তিন বল করে তাকে ছাড়িয়ে গেছেন তাইজুল। রেকর্ড হয়েছে আরো একটি— বাংলাদেশের হয়ে এক টেস্ট ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রান খরচ করা বোলারও এখন তিনি। এক টেস্ট ইনিংসে ২০০ বা এর চেয়ে বেশি রান বাংলাদেশের কোনো বোলার আগে দেননি। এতো দিন এই রেকর্ড ছিলো মোহাম্মদ রফিক ও সোহাগ গাজীর। তারা উভয়েই ১৮১ রান করে দিয়েছিলেন। এই দুই রেকর্ডের কথা মনে রেখে চার উইকেট উদযাপন করার আসলে কোনো সুযোগই ছিলো না তাইজুলের।

রেকর্ডের বিষয়টি তার সামনে তুলে ধরার পর তাইজুল কয়েক মুহূর্ত থাকলেন চুপ। এরপর বললেন, ‘এমন রেকর্ডকে মনে রাখার মতো কিছু মনে হচ্ছে না। আমরা যদি প্রয়োজন মতো ভালো বোলিং করতে পারতাম, তাহলে হয়তো এই রেকর্ডের দিকে যেতে হতো না।’

তাইজুলের কণ্ঠে ফুটে উঠলো দারুণ হতাশা। ব্যক্তিগত বোলিংয়ের পাশাপাশি দলীয় বোলিং নিয়ে তাইজুল বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশিতভাবো বোলিং করতে পারিনি। উইকেট ব্যাটিং সহায়ক ছিলো। কিন্তু আমরাও প্রত্যাশা মতো বোলিং করতে পারিনি। আমার মনে হয় আমরা অন্তত ১০০ রান বেশি দিয়ে ফেলেছি।’

এরপর তাইজুলকে আরো হতাশ মনে হলো চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের টিকে থাকার সম্ভাবনার বিষয়ে কথা বলার সময়ও। তাইজুল বলেন, ‘আমাদের যদি একটা উইকেট পড়তো, তাহলে ঠিক থাকতো। কিন্তু পড়ে গেছে তিন উইকেট। এটা বেশি হয়ে গেছে। তারপরও ব্যাটসম্যানরা যদি টিকে থাকতে পারেন, তাহলে ভালো কিছু হতে পারে। কিন্তু আমার মনে হয় এই টেস্ট আমাদের টিকে থাকা কঠিন।’