আপনি পড়ছেন

আসন্ন পবিত্র রমজান মাসের আগেই শেষ হবে জমজম কূপের সংস্কার কাজ। বিশেষ করে সংস্কার কাজের মধ্যে রয়েছে পবিত্র মসজিদুল হারামের ভেতরের ৫টি ওয়াটার ট্রানজিট নির্মাণ। নিরলসভাবে অবিরাম রাতদিন কাজ করে যাচ্ছেন ২৫০ জন ইঞ্জিনিয়ার, টেকনিশিয়ান ও শ্রমিক। কাজের দ্রুততার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে ১১টি ক্রেন।

zam zam

আরবি নিউজপেপার আল-মদীনাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পবিত্র দুই মসজিদের চিফ অব প্রেসিডেন্সি শায়খ আবদুর রহমান আল সুদাইস বলেন, ‘সংস্কার কাজের অর্ধেক সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে।’ তিনি জানান, সাড়ে তিন মাস আগে শুরু হওয়া এ কাজ যথাসময়ে সম্পন্ন করার আপ্রাণ চেষ্টা চলছে। সে মোতাবেক মনিটরিংও হচ্ছে। এখন শুধু প্রতি ওয়াক্ত নামাজের সময় আধাঘণ্টা করে বিরতি থাকে। বাকি সময় পুরোদমে কাজ চলছে।

সংশ্লিষ্ট প্রকল্প কর্মকর্তা জানান, জমজমের দুটি প্রকল্প রয়েছে। প্রথম প্রকল্পটি হলো ৫টি ওয়াটার ট্রানজিট নির্মাণ। আর দ্বিতীয়টি হলো-পানির আয়রন ও জীবাণুমুক্ত নিশ্চিত করা। জমজম পানি প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো সারাবিশ্ব থেকে আগত হজ ও ওমরাহ পালনকারীদের জন্য পানি সরবরাহের সুবিধা নিশ্চিত করা।

Sheikh Abdur Rahman Al Sudaisজমজম প্রকল্প পরিদর্শন করছেন শায়খ আবদুর রহমান আল সুদাইস। ছবি: সৌদি গেজেট

জমজম কুয়ার ইতিহাস: পবিত্র মক্কা শরিফে অবস্থিত মসজিদুল হারামের অভ্যন্তরে অবস্থিত জমজম কূপ। পবিত্র কাবা শরিফ থেকে মাত্র ২০ মি (৬৬ ফুট) দূরে এ কূপ অবস্থিত। ইসলামের ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, মুসলিম জাতির পিতা হযরত ইবরাহিম (আ.) আল্লাহ তায়ালার বিশেষ আদেশে স্ত্রী হাজেরা (আ.) ও শিশুপুত্র ইসমাইল (আ.) কে মরুভূমিতে রেখে আসেন।

ইবরাহিম (আ.)-এর রেখে যাওয়া খাদ্য পানীয় শেষ হয়ে গেলে হাজেরা (আ.) পানির সন্ধানে পার্শ্ববর্তী সাফা ও মারওয়া পাহাড়দ্বয়ের মাঝে ছোটাছুটি করেছিলেন। এ সময় ক্রন্দনরত শিশুপুত্র ইসমাইল (আ.) এর পায়ের আঘাতে মাটি ফেটে পানি বেরিয়ে আসে। ফিরে এসে এ দৃশ্য দেখে হযরত হাজেরা (আ.) পাথর দিয়ে পানির ধারা আটকে দেন। এ সময় হাজেরা (আ.) পানিকে জমজম অর্থাৎ থামো বলা বলার সঙ্গে সঙ্গে পানি থেমে যায়। এক পর্যায়ে তা কুয়ায় রূপ নেয়।

বিভিন্ন যুগে জমজমের সংস্কার কার্যক্রম: জমজম কুয়া একাধিকবার সংস্কার করা হয়। প্রথমে এটি পাথর দিয়ে ঘেরা অবস্থায় ছিল। পরবর্তীতে খলিফা আল মনসুরের সময় ৭৭১ সালে এর উপর গম্বুজ এবং মার্বেল টাইলস বসানো হয়। পরবর্তীতে খলিফা আল মাহদি এটি আরও সংস্কার করেন। বর্তমানে কুয়া কাবা চত্বর থেকে দেখা যায় না। এটি ভূগর্ভস্থ অবস্থায় রাখা হয়েছে। পানি পাম্পের সাহায্যে উত্তোলন করে মসজিদুল হারামের বিভিন্ন স্থানে তা সরবরাহ করা হয়।

zam zam well

বাদশাহ আবদুল আজিজ বিন সউদ জমজমের পূর্ব ও দক্ষিণে পানি পান করার জন্য দুটি স্থান নির্মাণ করেন। দক্ষিণ দিকে ৬টি এবং পূর্বদিকে ৩টি টেপ লাগানো হয়। বর্তমানে এই কূপ থেকে ২০ লক্ষাধিক ব্যারেল পানি উত্তোলন করা হচ্ছে।

কূপের পানি বণ্টনের জন্য ১৪০৩ হিজরিতে সৌদি বাদশাহের এক রাজকীয় ফরমান অনুযায়ী, হজ মন্ত্রণালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে ইউনিফাইড ‘জামাজেমা দপ্তর’ গঠিত হয়। এই দপ্তরে একজন প্রেসিডেন্ট ও একজন ভাইস প্রেসিডেন্টসহ মোট ১১ জন সদস্য ও ৫ শতাধিক শ্রমিক ও কর্মচারী নিয়োজিত রয়েছেন।

সূত্র: সৌদি গেজেট ও আরব নিউজ

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.