জোহানেসবার্গ টেস্ট: প্রথম দিনটা মার্করামের

বল বিকৃতির দায়ে নির্বাসনে চলে গেছেন স্টিভেন স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার ও ক্যামেরন ব্যানক্রফট। তাদের ছাড়া জোহানেসবার্গ টেস্টে প্রথম দিনের প্রায় পুরোটা সময় ভুগেছে অস্ট্রেলিয়া। শেষ বিকেলে ম্যাচে ফিরেছে অজিরা। শুক্রবার প্রথম দিন শেষে ছয় উইকেটে ৩১৩ রান করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

স্কোর বোর্ডই বলে দিচ্ছে চতুর্থ টেস্টের শুরুর দিনটা ছিল প্রোটিয়াদের। স্বাগতিকদের সুন্দর এই দিনটা উপহার দিয়েছেন এইডেন মার্করাম। তার দুর্দান্ত ব্যাটিং দৃঢ়তায় প্রথম ইনিংসে বড় সংগ্রহের পথে হাঁটছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। যদিও শেষ বিকেলে পথ হারিয়েছে তারা।

তবে সিরিজ বাঁচানোর টেস্টে মাঠে নামার আগে আরো একটা ধাক্কা খেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। টসের আগে ইনজুরি নিয়ে জোহানেসবার্গ টেস্ট থেকে ছিটকে যান মিচেল স্টার্ক। স্মিথদের অনুপস্থিতি এখনো সেভাবে বোঝা না গেলেও তার শূন্যতা ভালোই ভুগিয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে।

স্টার্ক ছিটকে যাওয়ায় এই টেস্টে অভিষেক হয়ে গেল চ্যাড সেয়ার্সের। টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচে এই পেসার খুব একটা খারাপ করেছেন তা নয়। শেষ বিকেলে তিন বলে মধ্যে ফেরান এবি ডি ভিলিয়ার্স ও কাগিসো রাবাদাকে। সেয়ার্স ছোট্ট এই ঝলকটা না দেখালে ম্যাচে আরো ভালো অবস্থানে থাকতে পারতো দক্ষিণ আফ্রিকা।

ইনিংসে দ্বিতীয় দলীয় সর্বোচ্চ ৬৯ রানে ফিরেছেন ডি ভিলিয়ার্স। ২৭ রানে আউট হয়েছেন হামিশ আমলা। ১৯ রান এসেছে ডিন এলগারের ব্যাট থেকে। ২৫ রানে অপরাজিত থেকে দিনের খেলা শেষ করেছেন টেম্বা বাভুমা। আজ দ্বিতীয় দিন উইকেটে তার সঙ্গী কুইন্টন ডি কক (৭*)।

অবশ্য প্রথম দিনের নায়ক একজনই। তিনি মার্করাম। শুক্রবার দশম টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ শতক তুলে নেন মার্করাম। সেঞ্চুরিটাকে শেষ পর্যন্ত ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে পরিণত করেন তিনি। ১৭টি চার ও এক ছক্কার সুবাদে খেলা ১৫২ রানের ঝলমলে এই ইনিংস খেলার পথে তিনটি জুটি গড়েছেন মার্করাম। ডি ভিলিয়ার্সের সঙ্গে ১০৫ রানের তৃতীয় উইকেট জুটিটা ভেঙেছে তার বিদায়ে। এটাই প্রথম দিনে প্রোটিয়াদের সবচেয়ে বড় জুটি।

জুটি ভাঙেন প্যাট কামিন্স। তিন উইকেট শিকার করে তিনি হলেন দিনের সেরা বোলার। কামিন্স পরপর দুই বলে সাজঘরে ফিরিয়েছেন উইকেটে আঠার মতো লেগে থাকা ডি ভিলিয়ার্স ও মার্করামকে। প্রায় আড়াইশ রানে চার উইকেট হারানো দক্ষিণ আফ্রিকা তিনশ ছোঁয়ার আগেই হারায় আরো দুই উইকেট।