আপনি পড়ছেন

মিয়ানমারের সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তারা যদি আইন লঙ্ঘন করেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির সমাজকল্যাণ, ত্রাণ ও পুনর্বাসনমন্ত্রী উইন মিয়াত আই। রাখাইন রাজ্যে নৃশংসতার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে এ পদক্ষেপ নেয়া হবে।

mayanmar rakhine fire

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন পদ্মায় এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা আইনের শাসনের ওপর জোর দিচ্ছি। আইনের শাসন অনুযায়ী তারা যদি আইন ভাঙেন তাহলে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি।’ রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেয়ার ব্যাপারেও আশ্বাস দেন মিয়ানমারের মন্ত্রী।

এর আগে সন্ধ্যা ৬টায় তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সাথে পদ্মায় বৈঠকে বসেন। উইন মিয়াত আই বলেন, মিয়ানমারে এখন নতুন প্রেসিডেন্ট এসেছেন। তিনি পরিষ্কারভাবে ঘোষণা দিয়েছেন যে দেশে অবশ্যই আইনের শাসন থাকতে হবে।

তিনি আরো বলেন, তারা উভয়পক্ষ একটি যাচাইকরণ ফর্মের বিষয়ে একমত হয়েছেন, যা সব সমস্যা সমাধান করে প্রত্যাবাসন শুরু করতে সাহায্য করবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি খুব নিশ্চিত যে আমরা যত দ্রুত সম্ভব প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করতে পারব।’ নির্দিষ্ট তারিখের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তার উত্তর, ‘খুব শিগগিরই।’

wyn myat aye mayanmar

আশ্রয় শিবিরে থাকা রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলা এবং বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনাসহ তিনটি প্রধান উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি এখানে এসেছেন জানিয়ে মন্ত্রী মিয়াত আই বলেন, ‘আমরা মুখোমুখি হওয়া অনেক সমস্যা এখন কাটিয়ে উঠতে পারব।’

ইউএনএইচসিআর এবং ইউএনডিপির সাথে সমঝোতা স্মারক সই নিয়ে তিনি জানান, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় সহায়তার জন্য তারা এসব প্রস্তাবিত সমঝোতা দ্রুত চূড়ান্ত করে সই করবেন।

রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য রোহিঙ্গাদের জাতীয় যাচাইকরণ প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যেতে হবে। ‘এখন আমরা দ্রুতগতিতে জাতীয় যাচাইকরণ প্রক্রিয়া পরিচালনা করছি।’

এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী বলেন, তারা খুব ফলপ্রসূ বৈঠক করেছেন এবং উভয়পক্ষই ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে।

তিনি বৈঠকে রোহিঙ্গাদের ফেরানোর জন্য গ্রাম পুর্ননির্মাণের ওপর জোর দেন। ফিরে যাওয়াদের যাতে খুব বেশি দিন ট্রানজিট শিবিরে থাকতে না হয় সে কথা বলেন মন্ত্রী।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং মিয়ানমারের পিস কমিশনের সদস্য অং তুন থিটও সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মাঝে চুক্তি সই হয়। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের নিজ মাতৃভূমিতে ফেরত নেয়ার ব্যবস্থা করতে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি দুই দেশের মধ্যে মাঠপর্যায়ের চুক্তি ‘ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ সই হয়। এ চুক্তি অনুযায়ী, প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার দুই বছরের মধ্যে তা সমাপ্ত হবে।

বাংলাদেশে বর্তমানে যত রোহিঙ্গা নাগরিক রয়েছেন তা ভুটানের মোট জনসংখ্যার চেয়েও অনেক বেশি। ভুটানের জনসংখ্যা প্রায় আট লাখ। অন্যদিকে বাংলাদেশ প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে।

এর আগে গত বুধবার বিক্ষোভের মুখেই কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেন মিয়ানমারের সমাজকল্যাণ, ত্রাণ ও পুনর্বাসনমন্ত্রী উইন মিয়াত আই।

রাখাইনে সেনা নির্যাতন থেকে রেহাই পেতে গত বছরের আগস্ট থেকে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গার পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ার পর এই প্রথমবারের মতো মিয়ানমারের কোনো মন্ত্রী তাদের দেখতে যান। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে কয়েকটি উচ্চপর্যায়ের সফর হয়েছে। তবে তাদের কেউই রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে যাননি।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে বাংলাদেশ ইতিমধ্যে এক হাজার ৬৭৩ রোহিঙ্গা পরিবারের আট হাজার ৩২ জনের তালিকা মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করেছে। শিগগিরই আরো প্রায় ১০ হাজার জনের তলিকা দেয়া হবে। যদিও প্রত্যাবাসনের বিষয়ে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। ইউএনবি।

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.