নতুন ভবিষ্যত গড়ার স্বপ্ন কামরুলের

টানা কয়েক বছর ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত খেলে জাতীয় দলে ঢুকেছিলেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। তার আগে বাংলাদেশ ‘এ’ দল ও হাইপারফর্ম্যান্স দলের হয়েও তিনি প্রমাণ করেছেন নিজের সামর্থ্য। কিন্তু জাতীয় দলে এসে আর সেভাবে পারফর্ম করতে পারেননি কামরুল। ফলে জাতীয় দলে তিনি আর নিয়মিত নন। সম্প্রতি বাদ পড়েছেন কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকেও। কিন্তু এই সব ব্যর্থতায় হতাশ নন কামরুল। তিনি বরং গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা দিয়ে গড়ে চান নিজের নতুন ভবিষ্যত।

নিজের ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে এই পেসার বলেন, ‘গত কয়েক মাস কঠোর অনুশীলন করেছি। চাম্পাকা (রামানায়েকে) ও (কোর্টনি) ওয়ালশের অধীনে কাজ করেছি। আমার মূল লক্ষ্য ছিলো ঠিক জায়গায় বোলিং করে যাওয়া। এ ছাড়া কবজির কিছু কৌশল নিয়েও কাজ করেছি। এর ফল পেয়েছি বিসিএলে। সেখানে এক ম্যাচে পাঁচ উইকেট নেয়ার পর আবার চার উইকেট নিয়েছি। বিসিএলে নিজের পারফর্মে মনে হচ্ছে, সামনে আরো ভালো করতে পারবো।’

বাংলাদেশের পরবর্তী খেলা আফগানিস্তানের বিপক্ষে। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে কামরুলের আপাতত বিবেচিত হওয়ার সুযোগ কম। সুতরাং তার দৃষ্টি ওয়েস্ট ইন্ডিজে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের পর পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ উড়ে যাবে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে।

সম্প্রতি চুক্তি থেকে বাদ পড়া কামরুল কি সেই দলে থাকবেন? এমন প্রশ্নের উত্তর আপাতত পাওয়া কঠিন। তবে কামরুল ভাবছেন, তার সামনে সুযোগ এলেও আসতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমি অবশ্যই দলে ফিরতে চাই। আগে যে ভুল ছিলো তা শোধরানোর চেষ্টা করছি। সুযোগ পেলে ভালো কিছু করতে চাই।’

হাই পারফর্ম্যান্স ইউনিটের হয়ে এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের অভিজ্ঞতা আছে কামরুলের। সেই অভিজ্ঞতা থেকে তার মনে হয় যে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর বাংলাদেশের জন্য খুব একটা কঠিন হবে না। নিউজিল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে উইকেটে ঘাস থাকে প্রচুর। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজে থাকা থাকে না বলেই সুযোগ দেখছেন কামরুল। তবে সেই সুযোগ লুফে নিতে হলে যে, নিজেদের সেরাটা খেলতে হবে, সেটা বলতেও ভুলেননি তিনি।

কামরুল বলেন, ‘আমার মনে হয় না খুব বেশি সমস্যা হবে। এখন বাংলাদেশে গরমের মৌসুম। ওয়েস্ট ইন্ডিজেও তাই। এ ছাড়া সেখানকার উইকেটে ঘাস থাকবে না। যেমন অস্ট্রেলিয়া বা নিউজিল্যান্ডে থাকে। দলের সেরা পাঁচ তারকার সাথে তরুণরাও যদি পারফর্ম করেন, আশা করি খুব বেশি সমস্যা হবে না।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজে খেলার অভিজ্ঞতা থাকায়, কামরুল হয়ে উঠতে পারেন বাংলাদেশের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের অন্যতম ভরসা। কিন্তু দলে তার জায়গা নিশ্চিত নয় একেবারেই। তারপরও তার ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়, তাহলে হয়তো ডাক পেয়েও যেতে পারেন। শেষ পর্যন্ত যদি তা হয়, কামরুল কি পারবেন নিজের নতুন ভবিষ্যতটা গড়ে নিতে?