আবার কলকাতার কাছে ব্যাঙ্গালুরুর হার

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে চার উইকেটে জিতেছিলো কলকাতা নাইট রাইডার্ড। দিনেশ কার্তিকের দল আরো একবার হারিয়ে দিলো বিরাট কোহলির দলকে। এবার ব্যবধান আরো বড়— ছয় উইকেট।

কলকাতাকে ১৭৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছিলো ব্যাঙ্গালুরু। ক্রিস লিনের অপরাজিত ৬২ রানে ভর করে রানটা চেজ করে ফেলে কলকাতা। যদিও শেষ দিকে দ্রুত দুটি উইকেট নিয়ে কলকাতাকে প্রায় বিপদে ফেলে দেন মোহাম্মদ সিরাজ। কিন্তু শেষ দিকে পুঁজি কমে যাওয়ায় তাতে খুব একটা লাভ হয়নি ব্যাঙ্গালুরুর। ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত সহজেই জিতেছে কলকাতা।

এই জয়ের মাধ্যমে টেবিলের উপরের দিকেই অবস্থান পাকা করলো কলকাতা। অন্য দিকে সাত ম্যাচের পাঁচটি হেরে বিরাট কোহলির দলের অবস্থান খুবই বাজে— টেবিলের নিচের দিকে।

সেরা পারফর্ম

ম্যাচজয়ী ইনিংসের কথা বিবেচনা করলে এই ম্যাচের নায়ক ক্রিস লিন। ৬২ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। রবিন উথাপ্পার ৩৬-ও ছিলো দারুণ কার্যকরী ইনিংস।

হাফ সেঞ্চুরি করে অপরাজিত ছিলেন বিরাট কোহলিও। কিন্তু তার দলে হেরে যাওয়ায়, শেষ পর্যন্ত নায়ক তিনি নন। তবে ম্যাচের সেরা পারফর্মারের তালিকায় তিনিও আছেন।

প্রথম ইনিংস

এই ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। চার উইকেটে ১৭৫ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেন তাদের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। এ রান করতে তিনি খেলেন ৪৪টি বল।

ব্যাঙ্গালুরুর ইনিংসে আর কোনো হাফ সেঞ্চুরি নেই। ওপেনার ব্র্যান্ডন ম্যাককালাম করেন ৩৮ রান। তার সঙ্গী কুইনটন ডি ককের ব্যাট থেকে আসে ২৯ রান।

কলকাতার হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন আন্দ্রে রাসেল। তিন ওভারে ৩১ রান করে খরচ করে ফেললেও তিনটি উইকেট নেন তিনি।

দুই দলের পরের ম্যাচ

কলকাতা নাইট রাইডার্স তাদের পরের ম্যাচ খেলবে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে। তিন মে ম্যাচটি বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটায় অনুষ্ঠিত হবে। চেন্নাইয়ের বিপক্ষে প্রথম লেগে পাঁচ উইকেটে হেরেছিলো দুইবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়নরা।

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু তাদের পরের ম্যাচটি খেলবে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে। পহেলা মেতে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটায়। মুম্বাইয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে বিরাট কোহলির দল ৪৬ রানে হেরে গিয়েছিলো।