শপথ নিয়েই ‘নতুন রাশিয়া’র স্বপ্ন দেখালেন পুতিন

পরিবর্তিত বিশ্ব ব্যাবস্থায় এবার শক্তিশালী এক ‘নতুন রাশিয়া’র স্বপ্ন দেখালেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সোমবার গ্র্যান্ড ক্রেমলিন প্যালেসে চতুর্থবারের মতো শপথ নেয়ার পর তিনি তার নতুন স্বপ্নের কথা জানান। এ সময় পুতিন বলেন, ‘আমরা পিতৃভূমির মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছি। এবার রাশিয়ার উন্নতি ও শক্তি অর্জনের জন্য সম্ভব সব রকমের চেষ্টা চালাব।’

রুশ সংবিধান ছুঁয়ে জনগণের উদ্ধেশ্যে পুতিন বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট হিসেবে রাশিয়ার জন্য সবকিছু করা আমার দায়িত্ব এবং আমার জীবনের লক্ষ্য। বর্তমান ও ভবিষ্যতের জন্য আমি কাজ করতে চাই। আমি আমার দায়িত্ব সচেতনভাবে অনুভব করছি।’

এবারের নির্বাচনী ইশতেহারেও তার এই ‘নতুন রাশিয়া’র ধারণা দিয়েছিলেন পুতিন। তাতে বলা হয়েছিল, পাশ্চাত্যের মোকাবিলায় রুশ প্রতিরক্ষা সক্ষমতা শক্তিশালী করা হবে। একই সঙ্গে জনগণের জীবনমান উন্নয়ন করা হবে। 

শপথের সময় জনগনের সেবা, অধিকার এবং দেশের সাবভৌত্ব রক্ষার অঙ্গীকার করেন নতুন প্রেসিডেন্ট পুতিন। বিপুল ভোট দিয়ে তাকে এ পদে নির্বাচিত করার জন্য শপথ শেষে তিনি রাশিয়ানদের ধন্যবাদ জানান।

শপথ নেয়ার পর পুতিন এখন মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য দুই সপ্তাহ সময় পাবেন। এ সময়ের মধ্যে তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে একজনকে নিয়োগের জন্য জাতীয় সংসদের নিম্নকক্ষে প্রস্তাব পাঠাবেন। নতুন প্রধানমন্ত্রীই মন্ত্রিসভা গঠনের দায়িত্ব পালন করবেন।

গত মার্চের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৭৬ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হন ১৮ বছর ধরে রাশিয়া শাসন করা পুতিন। এ জয়কে সবধরনের নির্বাচনে পুতিনের সেরা সাফল্য হিসেবে দেখা হয়। আগামী ২০২৪ সাল পর্যন্ত তার ক্ষমতায় থাকার কথা।

এই মেয়াদ পূর্ণ হলে পুতিন রাষ্ট্র ক্ষমতায় ২৪ বছর থাকার মাইলফলক স্পর্শ করবেন। এইসঙ্গে মেয়াদ শেষে জোসেফ স্ট্যালিনকে টপকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সময় রাশিয়া শাসনের রেকর্ড অর্জন করবেন পুতিন। এর আগে স্ট্যালিন সোভিয়েত আমলে দেশটি সর্বোচ্চ সময় শাসন করেছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালে ৬৩ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ভ্লাদিমির পুতিন। ২০০০ সালে প্রথমবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৮ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের মেয়াদ ছিল চার বছর। বর্তমানে রুশ প্রেসিডেন্টের মেয়াদ ছয় বছর। তবে পরপর দুই দফার বেশি কোনো প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় থাকতে পারেন না।