ইডব্লিউজি: এক মেয়রের পক্ষে ভোটের সংখ্যা বাড়িয়ে লেখা হয়েছে

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একজন মেয়র প্রার্থীর পক্ষে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তারা ভোটের সংখ্যা বাড়িয়ে লিখেছেন বলে অভিযোগ করেছে নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ (ইডব্লিউজি)। এই নির্বাচন নিয়ে বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক বিবৃতি তুলে ধরে সংস্থাটি এ দাবি করে।

সংবাদ সম্মেলনে ইডব্লিউজি জানায়, গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ৪২৫ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৫৭টি ওয়ার্ডের ১২৯টি ভোটকেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করেছেন নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী এই সংস্থাটির প্রতিনিধিরা। এসময় তারা ১৫৯টি অনিয়মের ঘটনা লক্ষ্য করেন।

শতকরা ৪৬.৫ শতাংশ কেন্দ্রে অনিয়ম হয়েছে জানিয়ে সংস্থাটি বলেছে, এসব অনিয়মের মধ্যে আছে জোর করে ব্যালটে সিল মারা, ভোটের সংখ্যা বাড়িয়ে লেখা, ভোটকেন্দ্রের ভেতর অননুমোদিত ব্যক্তিদের অবস্থান এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ প্রার্থীর পক্ষ নেয়া।

লিখিত বক্তব্যে ইডব্লিউজি জানায়, ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডের একটি কেন্দ্রে দুপুরের দিকে চারটি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তারা ব্যালটে সিল মেরে বাক্সে ঢুকিয়ে দেন। ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে একটি কেন্দ্রে বেলা ১১টার দিকে পাঁচজন ভোটারকে মেয়র প্রার্থীর ব্যালট পেপার দেয়া হয়নি।

তারা আরও বলেন, এই কেন্দ্র থেকে বিএনপির পোলিং এজেন্টদেরও বের করে দেয়া হয়েছে। একই কেন্দ্রে বেলা ১টার দিকে অবৈধভাবে সিল মারতে দেখা গেছে। দায়িত্বরত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা একজন মেয়র প্রার্থীর সরবরাহ করা খাবার গ্রহণ করেছেন।

সংস্থাটি জানায়, তারা ৮৮টি কেন্দ্রে ভোটগণনা পর্যবেক্ষণ করেছে। দুটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তারা ফলাফল শিটে একজন মেয়র প্রার্থীর পক্ষে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা বাড়িয়ে লেখেন। ওই সময় বিএনপির এজেন্ট উপস্থিত ছিলেন না।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ইডব্লিউজির পরিচালক ড. মো. আবদুল আলীম, হারুনুর রশীদ ও অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ।

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে ২৮টি সিভিল সোসাইটি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার সমন্বয়ে ইডব্লিউজি গঠিত হয়। সারা দেশে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে সংস্থাটি।