বিদ্যুৎ ও পানি ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

বিদ্যুৎ ও পানি ব্যবহারে সকলকে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অনুশীলন করার জন্যও আহ্বান জানান তিনি। মতিঝিল ও আজিমপুরে সরকারি কর্মচারীদের জন্য ৯২৮টি ফ্ল্যাট নিয়ে নবনির্মিত বহুতল ভবনের কলোনী উদ্বোধনকালে এসব বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আপনাদের বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহে ভর্তুকি দিচ্ছি। হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি হিসেবে দেয়া হচ্ছে। সুতরাং আপনাদের অবশ্যই এগুলো ব্যবহারে বিবেচক হতে হবে। অফিস বা বাড়িতে রুম থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় লাইট, ফ্যান, এসি ও অন্যান্য বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘আপনি এগুলো অনুশীলন করলে বিদ্যুৎ বিল অনেক কম আসবে। আমরা সবকিছুই ডিজিটাল করেছি, এখন কেউ বিদ্যুৎ বিল পরিবর্তন করতে পারবে না।’

২০০৮ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার সময় পানি সংকটের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার ১৯৯৬ সালে সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার ১ নির্মাণ করে। পরে আওয়ামী লীগ সরকারের এই মেয়াদে সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার ২ ও ৩ নির্মিত হয়েছে। আমরা আরো পানি শোধনাগার নির্মাণ করছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক লিটার পানি বিশুদ্ধ করার জন্য এবং এক ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করার জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়। আমরা ভর্তুকি দিচ্ছি। আপনাদের মিতব্যয়ী হতে হবে।

পরিচ্ছন্নতা অনুশীলনে কোনো অর্থ খরচ হয় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি কেবল আপনার আন্তরিকতার বিষয়। আপনি যদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকেন তবে আপনার শরীর ও মনও খুশি থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় এনেছে এবং তার সরকারের একমাত্র কাজ হচ্ছে জনগণের সেবা করা।

তিনি আরো বলেন, টানা দুই মেয়াদে সরকার অব্যাহত রাখার কারণে দেশের উন্নয়ন এখন স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। আমরা জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সক্ষম হয়েছি। আমাদের উন্নয়ন শুধু শহুরে এলাকায় সীমাবদ্ধ নয়। আমাদের লক্ষ্য গ্রামাঞ্চলে তৃণমূলের জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা। আমরা সে লক্ষেই কাজ করছি।

সরকারি কর্মচারীদের জন্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে জনগণের সেবা করার জন্য আহ্বান জানান। ‘আপনাদের বেতন ও মজুরি করদাতাদের অর্থ থেকে আসছে। সেজন্য সে কথা মাথায় রেখে দায়িত্ব পালন করা উচিৎ,’ বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আজিমপুরের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। হাসপাতালে ভর্তি থাকায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেননের একটি লিখিত বক্তব্য মতিঝিলের অনুষ্ঠানে পাঠ করা হয়। ইউএনবি।