অমরত্বের স্বাদ পেলেন দেশম

খেলোয়াড় হিসেবে বিশ বছর আগে নিজেকে প্রমাণ করেছিল দিদেয়ের দেশম। তার নেতৃত্বেই ১৯৯৮ সালে স্বপ্নের প্রথম বিশ্বকাপ জিতেছিল ফ্রান্স। চার বিশ্বকাপ পর কোচের ভূমিকাতেও দেশকে সোনালি ট্রফি এনে দিলেন দেশম। পগবা, গ্রিজম্যান, এমবাপ্পেদের গুরু পেয়ে গেলেন অমরত্বের স্বাদ।

এ এক এমনই কীর্তি যেটা বিশ্বকাপের ইতিহাসে মাত্র দুজন ব্যক্তিরই ছিল। খেলোয়াড় এবং কোচের ভূমিকায় বিশ্বজয়ের নজির দেখিয়েছিলেন ব্রাজিলের মারিও জাগালো এবং জার্মানির ফ্রেঞ্জ বেকেনবাওয়ার। তবে অধিনায়ক ও কোচ হিসেবে বিশ্বজয়ের কীর্তিটা শুধু একজনেরই ছিল। রোববার মস্কোর ফাইনালের পর জার্মান কিংবদন্তি এই এলিট ক্লাবে সঙ্গী হিসেবে পেলেন দেশমকে।

১৯৯৮ বিশ্বকাপে ঘরের মাঠে খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ জিতেছিলেন দেশম। বিশ বছর আগে স্বপ্নের ফাইনালে ব্রাজিলকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে প্রথমবার সোনালি ট্রফির স্বাদ পেয়েছিলেন এই কিংবদন্তি। এবার ক্রোয়েশিয়াকে ৪-২ গোলে বিধ্বস্ত করে কোচ হিসেবে শিরোপা জিতে নিলেন তিনি।

এমন দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি বিশ্বকাপের ইতিহাসে মাত্র দুইবারই হয়েছে। ১৯৫৮ ও ১৯৬২ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন ফুটবলার জাগালো। ১৯৭০ সালে তার দুর্দান্ত রণকৌশলে ব্রাজিল পেয়েছিল বিশ্বকাপ। কোচ হিসেবে আরো একবার বিশ্বকাপ জিতেছিলেন জাগালো। তবে ১৯৯৪ সালে ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী দলের সহকারী কোচ ছিলেন তিনি।

যে বিশ্বকাপে জাগালো বিরল কীর্তিটা গড়েছিলেন, ঠিক পরেরবারই তার আসনে ভাগ বসানোর অর্ধেক কাজটা সেরেছিলেন বেকেনবাওয়ার। ১৯৭৪ সালে পশ্চিম জার্মানির অধিনায়ক হিসেবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ১৯৯০ বিশ্বকাপে জার্মানিকে তিনি উপহার দেন আরেকটি শিরোপা। কোচ, অধিনায়ক ও খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপজয়ী প্রথম ব্যক্তি ছিলেন তিনিই। কাল তার সেই অসামান্য কীর্তিতে ভাগ বসালেন দেশম।