সেই মরিনহোর মুখেই এখন পগবা-বন্দনা

গত মৌসুমের প্রায় পুরোটা সময় বেঞ্চে বসে কাটিয়েছেন পল পগবা। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কোচ হোসে মরিনহোর ‘অত্যাচারে’ ফ্রেঞ্চ সেনসেশনের ক্যারিয়ার বিপর্যয়েরও শঙ্কা জেগেছিল। পগবাকে তো কেউ কেউ ওল্ড ট্রাফোর্ড ছাড়ারও পরামর্শ দিয়েছিল।

তবু ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছাড়ার পক্ষে ছিলেন না তিনি। ক্লাব বদলের সিদ্ধান্ত না জানিয়ে পর্তুগিজ কোচকে জবাবটা বরং মাঠেই দিয়েছেন পগবা। তাও আবার ফুটবলের সর্বোচ্চ মঞ্চ, বিশ্বকাপে। এই মিডফিল্ডারের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে ২০ বছর পর ফের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফ্রান্স।

ফরাসিদের এই স্বপ্নযাত্রার সারথিদের মধ্যে পগবা ছিলেন অন্যতম। মাঝ মাঠে ম্যাচের লাগাম টেনে রাখার পাশাপাশি নিজে গোল করেছেন, সতীর্থদের দিয়েও করিয়েছেন। বিশ্বকাপে দাপুটে এই পারফরম্যান্সের সুবাদে পগবা পাচ্ছেন বিশ্বজুড়ে প্রশংসা। এবার তার জন্য প্রশংসার ঝাঁপি খুলে দিয়েছেন খোদ মরিনহো-ই।

বুধবার ক্লাব মৌসুম পূর্ব প্রথম সংবাদ সম্মেলনে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কোচ বলেছেন, ‘পগবা জানে বিশ্বকাপ জয়ে ওর অবদান কেমন ছিল। ও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছে। বিশেষ করে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় পর্ব থেকে ওর পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতোই। কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল তিনটি ম্যাচেই ও ছিল দুর্দান্ত।’

পগবাকে ভবিষ্যৎ ফ্রান্স দলের কাণ্ডারি হিসেবে ভাবছেন পর্তুগিজ কোচ। বলেছেন, ‘ও ফ্রান্স জাতীয় দলের ভবিষ্যৎ। ফ্রান্সের এই দলটা চমৎকার। এদের মধ্যে সেরা ফুটবলার হয়ে উঠতে পারে পগবা।’ এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে তরুণ দলগুলোর একটি ছিল ফ্রান্স। এই দলটায় ফরওয়ার্ড অলিভার জিরার্ড এবং গোলরক্ষক হুগো লরিসের বয়স একটু ‘বেশি’।

সেই দলটাই প্রথাগত ধারণা ভেঙে রাশিয়া বিশ্বকাপে গেয়েছে তারুণ্যের জয়গান, ফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে ৪-২ গোলে হারিয়ে হয়েছে চ্যাম্পিয়ন। এই দলটা নিয়ে মরিনহোর মূল্যায়ন, ‘এটা (ফ্রান্স) তরুণ একটা দল। জিরার্ড এবং লরিসকে বাদ দিলে দলের সবাই বয়সে তরুণ। তবে ওরা সবাই অনেকদিন ধরে একসঙ্গে খেলে আসছে যা ফ্রান্স দলকে এতটা শক্তিশালী করে তুলেছে।’