ইমরান খানই হচ্ছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

সেনাবাহিনীর প্রভাব খাটানো, কারচুপির অভিযোগ, সহিংসতা ও জঙ্গি হামলার মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের আলোচিত নির্বাচনে বিজয়ী হতে যাচ্ছে সাবেক ক্রিকেট তারকা ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। তবে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় ইমরানকে শেষ পর্যন্ত জোট সরকার গঠন করতে হবে।

এদিকে ভোটগ্রহণের ১৫ ঘণ্টা পার হলেও চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করতে পারেনি দেশটির নির্বাচন কমিশন। এখন পর্যন্ত কেবল ৪৭ ভাগ কেন্দ্রের ভোট গণনা সম্পন্ন হয়েছে বলে জানায় দেশটির প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য ডন।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অভিযোগ, ফলাফল টেম্পারিং করার জন্য ভোট গণনা কার্যক্রম ধীরে চলছে। কারচুপি ও জালিয়াতির অভিযোগ এনে ইতোমধ্যে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে নওয়াজ শরীফের ভাই শাহবাজ শরীফের নেতৃত্বধীন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)।

ভোট গণনায় এখন পর্যন্ত ইমরান খানের পিটিআই স্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে শাহবাজ শরীফের নেতৃত্বাধীন পিএমএল-এন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জিও টিভির দেয়া সর্বশেষ বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী ২৭২টি আসনের মধ্যে পিটিআই পেতে যাচ্ছে ১১৮টি আসন। পিএমএল-এন পেতে যাচ্ছে ৬০টি আসন আর পাকিস্তান পিপলস পার্টি-পিপিপি পাচ্ছে ৩৫টি আসন। স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হতে যাচ্ছে ১৭টি আসনে।

এককভাবে ১৩৭টি আসন পেয়ে সরকার গঠনের সুযোগ না হলেও ইমরান খানের নেতৃত্বেই গঠিত হতে যাচ্ছে পাকিস্তানের আগামী সরকার। এক্ষেত্রে ইমরানের দলকে অন্য দলের সহায়তা নিয়ে ঝুলন্ত সরকার গঠন করতে হবে।

সব ঠিকঠাক থাকলে পাকিস্তানের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো একটি নির্বাচিত সরকার আরেকটি নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের সুযোগ পাবে।

নওয়াজ ও তার মেয়ে মারইয়াম অবৈধ সম্পত্তির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। পাকিস্তানের ক্ষমতাধর সেনাবাহিনী ইমরানকে নির্বাচনে জয়ী করার জন্য কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছে পিএমএল-এনসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন মহল।