বন্ধুকে রেখে এসে ‘মন টিকছে না’ রোনালদোর!

দীর্ঘ নয় বছর রিয়াল মাদ্রিদে ছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। প্রায় এক দশকের অধ্যায়ে ক্লাবের প্রাণভোমরা হয়ে ছিলেন পর্তুগিজ যুবরাজ। সেই রোনালদো-ই সবাইকে বিস্ময় উপহার দিয়ে এবারের দল-বদলের বাজারে খুঁজে নিয়েছেন নতুন ঠিকানা।

রোনালদোর নোঙর এখন ইতালিয়ান ফুটবলে। পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার নাম লিখিয়েছেন সিরি’এ লিগ চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাসে। নতুন ক্লাবে এসেই পুরনো বন্ধুদের কথা মনে পড়ছে রোনালদোর। এই মুহূর্তে সম্ভবত মার্সেলোর কথাই সবচেয়ে বেশি ভাবছেন তিনি।

যে কারণে ব্রাজিলিয়ান রাইট-ব্যাককে জুভেন্টাসে আনার জন্য ক্লাবকর্তাদের চাপ দিচ্ছেন রোনালদো। ফ্রেঞ্চ গণমাধ্যমের দাবি- প্রাণভোমরার চাওটাকে জোর দিচ্ছেন ক্লাবের নীতি নির্ধারকরা। তাই অ্যালেক্স সান্দ্রোকে পিএসজির কাছে বিক্রি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে তুরিনের বুড়িরা। মার্সেলোর জন্য জায়গা তৈরি করতেই নাকি জুভদের এই প্রয়াস।

রিয়ালে থাকাকালীন মাঠে এবং মাঠের বাইরে দুই জায়গাতেই মার্সেলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল রোনালদোর। তাদের বন্ধুত্বের খবরটাও ভালোই জানা আছে ফুটবলপ্রেমীদের। স্বাভাবিকভাবেই বন্ধুকে রিয়ালে রেখে এসে মন টিকছে না রোনালদোর। তাই জুভেন্টাসেও মার্সেলোর সঙ্গে খেলার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন তিনি।

ফরাসি প্রচারমাধ্যমের প্রতিবেদনকে অবশ্য গুঞ্জন বলে সহজে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ মার্সেলো নিজেও ক্লাব ছাড়ার একটা ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন। রোনালদোর সঙ্গে আবারো খেলার ইচ্ছে জানিয়ে মার্সেলো টুইট করেছিলেন, ‘খুব শিগগিরই আমরা আবারো এক জায়গায় হতে চাই।’

অবশ্য মার্সেলোর রিয়াল ছাড়ার একটা আভাস স্প্যানিশ গণমাধ্যমও দিয়ে আসছে বেশ কিছুদিন ধরে। এখন দুইয়ে দুইয়ে চার মেলার অপেক্ষা। তবে সান্দ্রোকে ছাড়ার ইচ্ছে নাকি ছিল না জুভেন্টাসের। কারণ গত মৌসুমে সিরি’এ লিগ জয়ে সান্দ্রোর একটা প্রভাব ছিল। কিন্তু রোনালদোর চাপের কারণেই নাকি বাধ্য হয়ে এই ডিফেন্ডারকে বিক্রি করে দিচ্ছে তুরিনের ক্লাবটি।