শফী: সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যাচার চালানো হচ্ছে

'আমাকে ও হেফাজতে ইসলামকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় উদ্দেশ্যমূলক প্রপাগান্ডা ও মিথ্যাচার চালানো হচ্ছে' বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফী। তিনি বিশেষ কোনো ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া, সোশ্যাল মিডিয়ায় কোন ব্যক্তি বিশেষের কথায় বিভ্রান্ত না হতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

রোববার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত শোকরানা মাহফিলে এসব কথা বলেন বহুল আলোচিত হেফাজতে ইসলামের এই শীর্ষ নেতা। মূলত কওমি সনদের স্বীকৃতি দেওয়ায় আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ এই শোকরানা মাহফিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেয়। তবে সভামঞ্চে আল্লামা শফী উপস্থিত থাকলেও কোনো বক্তব্য দেননি। তার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বেফাকের সহকারী মহাসচিব মাওলানা নুরুল আমিন ।

আল্লামা শফির পক্ষে লিখিত বক্তব্যে মাওলানা নুরুল আমিন বলেন, 'তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নে পাশাপাশি নানা ধরনের ফিৎনাও ছড়িয়ে পড়েছে। মুসলমানদের মধ্যে হিংসা, বিদ্বেষ ও বিভেদ বেড়েছে। লক্ষ্য করেছি, আমাকে ও হেফাজতে ইসলামকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় উদ্দেশ্যমূলক প্রপাগান্ডা ও মিথ্যাচার চালানো হচ্ছে। কাজেই কোনো ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া বা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যক্তি বিশেষের কথায় বিভ্রান্ত না হতে সকলের কাছে অনুরোধ করছি।’

'আমার কর্মকৌশল ও সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোন থেকে বিবেচনার সুযোগ নেই। পাশাপাশি আমার বক্তব্য, বিবৃতিকে কেন্দ্র করে অপব্যাখ্যা ও মিথ্যাচার করারও সুযোগ নেই' আল্লামা শফির পক্ষে লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন বেফাক মহাসচিব।

মাওলানা শফী বলেন, 'আমি দ্যর্থহীনভাবে বলছি, আমার কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই। কোন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম বা দলের সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের নীতিগত কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। মুসলমানদের ইমান আকিদা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ রক্ষাই হেফাজতে ইসলামের মূল লক্ষ্য। ইসলামের নীতি ও আদর্শের ওপর আমরা অটল ও অবিচল আছি।'

কওমি সনদের স্বীকৃতির বিষয়ে তিনি বলেন, 'কওমি সনদের স্বীকৃতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সামাজিক অবস্থান সুদৃঢ় ও উজ্জ্বল হলো।' প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আবর্ষণ করে তিনি বলেন, 'ইসলাম ও মুসলিম উম্মার কল্যাণে আপনার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উল্লেখ্যযোগ্য অবদান রেখেছেন। আপনার শাসনামলেও লাখ লাখ কওমি আলেম সনদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিতে ধন্য হলো। আপনার এমন অসামান্য অবদান ইতিহাসের সোনালী পাতায় লেখা থাকবে।'

আহমদ শফী বলেন, 'কওমি সনদের স্বীকৃতির ঐতিহাসিক দাবিটি অনেক দিনের। দাবিটি আদায়ের লক্ষ্যে দেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম বহুদিন ধরে আন্দোলন করেছেন। বারবার ক্ষমতার পালাবদল হলেও ন্যায্য দাবিটি পূরণ হয়নি। বর্তমান সরকারের আন্তরিকতায় এটি সম্ভব হলো।'