মনোনয়নে বিএনপির নজরে যেসব প্রার্থী

নির্বাচনের আর বেশি সময় নেই। হাটে, মাঠে, ঘাটে বইছে নির্বাচনের হাওয়া। এরই মধ্যে ৩০০ আসনে প্রার্থীর তালিকা ইতোমধ্যে প্রায় সম্পন্ন করে ফেলেছে বিএনপি। জানা গেছে, হামলা মামলার কথা বিবেচনায় রেখে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ সংসদীয় আসনেই বিকল্প প্রার্থী রেখে তালিকা করছে দলটি। এক্ষেত্রে ২০০৮ সালের নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়া এবং জনপ্রিয় প্রার্থীদের আসন্ন নির্বাচনে বিশেষ বিবেচনায় রাখা হয়েছে।

বিএনপির মনোনয়ন বোর্ড সূত্র বলছে, তিনশ আসনে প্রার্থীর তালিকা করলেও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের (সম্প্রসারিত ২৩ দল) সঙ্গে সমন্বয় করতে ৬০ থেকে ৭০টি আসন ছাড়তে হবে। ৩০০ আসনে প্রর্থীর তালিকা করতে বিগত দশ বছরের আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকা, এলাকায় তার অবস্থান এবং নির্বাচনের মাঠে শেষ পর্যন্ত টিকতে পারবে কি না সেই সক্ষমতাও বিবেচনায় রাখা হয়েছে।

বিএনপি বলছে, শিগগিরই দুই জোটের শরিকদের সঙ্গে বসে জোট এবং বিএনপির প্রার্থী তালিকা চুড়ান্ত করা হবে। এক্ষেত্রে সরকারি দলের কারা কোন আসনে মনোনয়ন পাচ্ছেন, সেটিও বিবেচনায় রাখার জন্য সময় ক্ষেপণ করা হচ্ছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

বগুড়া-৬ ও ৭ এবং ফেনী-১ আসনে ইতোমধ্যে প্রার্থী চুড়ান্ত করা হয়েছে। এ তিন আসনে ১৯৯১ সাল থেকে বিএনপির কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নির্বাচন করেন। তিনি কখনো হারেননি। এবারও তাকেই মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। তবে সাজার কারণে শেষ পর্যন্ত তিনি নির্বাচন করতে পারবেন কি না সেই আশংকায় বিকল্প প্রার্থী রাখা হয়েছে।

বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাহজাহানপুর) আসনে বিকল্প হিসেবে গাবতলী উপজেলা চেয়ারম্যান মোর্শেদ মিল্টন, সাবেক এমপি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু নাম রাখা হয়েছে।

আর বগুড়া-৬ (সদর) আসনে বিকল্প হিসেবে পৌর মেয়র মাহবুবুর রহমান, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম, ভিপি সাইফুল ইসলাম ও জেলা সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন।

চট্টগ্রাম-৪ আসনের বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব আসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৫ আসনে ভাইস-চেয়ারম্যান মীর নাসির উদ্দিন, চট্টগ্রাম-৬ আসনে ভাইস-চেয়ারম্যান গিয়াস কাদের চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৮ আসনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান এম মোর্শেদ খান, চট্টগ্রাম-১০ আসনে ভাইস-চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান ও চট্টগ্রাম-১১ আসনে স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী মনোনয়ন পাচ্ছেন।

২০০৮ সালে চট্টগ্রাম-২ ও ৭ আসনে প্রার্থী ছিলেন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফাঁসি কার্যকর হওয়া সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী। তার চট্টগ্রাম-২ আসনে সাংবাদিক নেতা কাদের গণি চৌধুরী মনোনয়ন পেতে পারেন। আর চট্টগ্রাম-৭ আসনে সাকা চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীর ধানের শীর্ষের টিকিট পাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে ঢাকা-১ এ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান, ঢাকা-২ এ চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান এবং ঢাকা-৩ আসনে স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিকল্প তার পুত্রবধূ নিপুণ রায় চৌধুরীর নাম শোনা গেছে।

ঢাকা-৪ আসনে ভারতে অবস্থানরত সালাহ উদ্দিন আহমেদ, তার ছেলে তানবির আহমেদ রবিন ও নবীউল্লাহ নবীর নাম জানা গেছে। ঢাকা-৬ এ অবিভক্ত ঢাকা সিটির মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন ও কাজী আবুল বাশার এবং ঢাকা-৭ নাসির উদ্দিন আহম্মেদ পিন্টুর স্ত্রী দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য নাসিমা আক্তার কল্পনার কথা ভাবা হচ্ছে।

ঢাকা-৮ আসনে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিকল্প যুগ্ম-মহাসচিব হাবীব-উন নবী খান সোহেল রয়েছেন। আর ঢাকা-৯ আসনেও চিন্তা করা হয়েছে মির্জা আব্বাসকে।

ঢাকা-১০ এ ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসিম ও শেখ রবিউল আলম রবি, ঢাকা-১১ এ ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সভাপতি এমএ কাইয়ুমের নাম রয়েছে।

ঢাকা-১২ এ যুবদল সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, ঢাকা-১৩ এ বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী ও আবদুস সালাম এবং ঢাকা-১৫ আসনে যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের নাম আছে।

ঢাকা-১৬ আসনে স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার নাম রাখা হয়েছে। তবে সম্প্রতি সাজা হওয়ায় তার স্ত্রী ড. শাহিদা রফিকের নামও রাখা হয়েছে। এছাড়াও জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হকও চিন্তায় আছেন।

ঢাকা-১৭ আসনে রুহুল আলম চৌধুরী, ঢাকা-১৮ আসনে যুবদলের এসএম জাহাঙ্গীর, ঢাকা-১৯ আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবু, ঢাকা-২০ আসনে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খানের নাম রয়েছে।

কুমিল্লা-১ আসনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, কুমিল্লা-২ আসনে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার। তিনি মারা যাওয়ায় এ আসনে ছেলে তার ছেলে মাহমুদ আনোয়ার ছাড়াও জেলা বিএনপির একাধিক নেতা তালিকায় রয়েছেন।

কুমিল্লা-৫ আসনে ভাইস-চেয়ারম্যান ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, কুমিল্লা-৮ আসনে কেন্দ্রীয় কর্মসংস্থানবিষয়ক সম্পাদক জাকারিয়া তাহের সুমনের নাম রয়েছে।

সিলেট-২ আসনে নিখোঁজ ইলিয়াস আলীর স্ত্রী চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদী লুনাকে মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে। সিলেট-১ আসনে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ও প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ইনাম আহমদ চৌধুরী, পাশাপাশি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদিরকে বিকল্প রাখা হয়েছে। সিলেট-৪ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য দিলদার হোসেন সেলিম।

সুনামগঞ্জ-১ সাবেক সংসদ সদস্য নজির হোসেন, সুনামগঞ্জ-৪ চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুল হক আছপিয়া, সুনামগঞ্জ-৫ বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন।

হবিগঞ্জ-১ আসনে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শেখ সুজাত মিয়া, হবিগঞ্জ-২ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবনের নাম রয়েছে।

মৌলভীবাজার-১ আসনে কেন্দ্রীয় নেতা এবাদুর রহমান চৌধুরী, মৌলভীবাজার-২ সাবেক সংসদ সদস্য এমএম শাহিন, মৌলভীবাজার-৩ আসনে সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের ছেলে জেলা বিএনপির সভাপতি নাসের রহমান মনোনয়ন পাচ্ছেন।

পঞ্চগড়-১ আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার এবার প্রার্থী হচ্ছেন না। তার ছেলে দলের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নওশাদ জমিরকে মনোনয়ন দেয়া হবে। এছাড়া পঞ্চগড়-২ আসনে সাবেক মোজাহার হোসেন মারা গেছেন। এ আসনে দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফরহাদ হোসেন আজাদসহ চারজনকে প্রস্ততি নিতে দল থেকে বলা হয়েছে। এই আসনে আলোচনায় আছেন জাগপার সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিনা চৌধুরী জুঁই। 

গাজীপুর-১ আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী, গাজীপুর-২ আসনে বিএনপির সাবেক মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নান ও হাসান উদ্দিন সরকার এবং গাজীপুর-৩ আসনে বিএনপির সহ-স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চুর নাম রয়েছে।

গাজীপুর-৪ আসনে বিএনপির প্রয়াত নেতা আসম হান্নান শাহর ছেলে মো. রিয়াজুল হান্নান, গাজীপুর-৫ আসনে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম ফজলুল হক মিলন মনোনয়ন পাচ্ছেন।

যশোর-৩ আসনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম মারা যাওয়ায় তার ছেলে দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের মনোনয়ন পাওয়া সময়ের ব্যাপার। বরিশাল-১ এ ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সোবহানের পরিবর্তে সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপনের নাম রয়েছে।

টাঙ্গাইল-৩ আসনে জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ মাঈনুল ইসলাম। তার বিকল্প হিসেবে রাখা হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা লুৎফর রহমান খান আজাদকে। টাঙ্গাইল-৬ আসনে সাবেক প্রতিমন্ত্রী বিএনপির কেন্দ্রীয় পল্লী উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী, টাঙ্গাইল-৮ আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, টাঙ্গাইল-৫ আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসানের নাম আছে।

এদিকে কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে ভাইস চেয়ারম্যান ড. ওসমান ফারুক, কিশোরগঞ্জ-৪ এ চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান এবং কিশোরগঞ্জ-৬ আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলমকে বিবেচনায় রাখা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে সাবেক এমপি মো. গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়া, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে সাবেক এমপি ও মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালামের নাম রয়েছে।

নরসিংদী-১ আসনে ভাবা হয়েছে যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন, নরসিংদী-২ এ স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নরসিংদী-৩ এ আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া এবং নরসিংদী-৪ আসনে সাবেক এমপি সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুলের নাম।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মঈনুল ইসলাম খান শান্ত পাচ্ছেন মানিকগঞ্জ-২ আসনের টিকিট। এছাড়া মুন্সীগঞ্জ-১ এ ভাইস-চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, মুন্সীগঞ্জ-২ এ কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান সিনহা, মুন্সীগঞ্জ-৩ এ আছে জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাইয়ের নাম।

শ্রমিক নেতা ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর পাচ্ছেন ফরিদপুর-১, ফরিদপুর-২ এ চিন্তা করা হয়েছে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদকে। এছাড়া ফরিদপুর-৩ আসনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের সম্ভাবনা বেশি।

রাজবাড়ী-১ এ জেলা বিএনপির সভাপতি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ামের নাম রয়েছে।

খুলনা-৪ আসনে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল মনোনয়ন পাচ্ছেন। খুলনা-২ আসনে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু, যশোর-১ আসনে সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল ইসলাম তৃপ্তির নাম রয়েছে। যাকে সম্প্রতি দলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রকিবুল করিম খান পাপ্পুর সম্ভাবনা বেশি। সিরাজগঞ্জ-২ আসনে ভাইস-চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে সাবেক এমপি আব্দুল মান্নান তালুকদারকে চিন্তা করা হয়েছে।

ঝালকাঠি-১ আসনে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, পটুয়াখালী-১ আসনে কেন্দ্রীয় ভাইস-চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সভাপতি এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, পটুয়াখালী-৪ আসনে কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেনের নাম রয়েছে।

বরগুনা-২ আসনে ভাইস-চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ভোলা-২ আসনে সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহিম, ভোলা-৩ আসনে ভাইস-চেয়ারম্যান সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ভোলা-৪ আসনে নাজিম উদ্দিন আলমের নাম রয়েছে।

কক্সবাজার-১ এ স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ অথবা তার স্ত্রী হাসিন আহমেদ, কক্সবাজার-৪ আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ শাহজান চৌধুরী, খাগড়াছড়িতে জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া মনোনয়ন পেতে পারেন।

রাঙ্গামাটি-১ আসনে দীপেন দেওয়ান ও মনি স্বপন দেওয়ানের নাম রয়েছে। ফেনী-১ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বিকল্প হিসেবে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টুকে রাখা হয়েছে। ফেনী-২ এ চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক জয়নাল আবদীন ভিপির নাম রয়েছে।

দলের যুগ্ম-মহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন নোয়াখালী-১, নোয়াখালী-২ এ চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, নোয়াখালী-৩ বর ভাইস-চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, নোয়াখালী-৪ এ বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ নোয়াখালী-৫ আসনে মনোনয়ন পাচ্ছেন।

লক্ষীপুর-২ আসনে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, লক্ষীপুর-৩ আসনে বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।

চাঁদপুর-১ আসনে সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও দলের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আ ন ম এহছানুল হক মিলনের নাম রয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মনোনয়ন পাচ্ছেন ঠাকুরগাঁও-১ আসনে। দিনাজপুর-২ আসনে পাচ্ছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান।

নীলফামারী-৪ এ কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন, রাজশাহী-১ আসনে সাবেক মন্ত্রী বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আমিনুল হক এবং রাজশাহী-২ আসনে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু মনোনয়ন পাচ্ছেন।

নাটোর-১ প্রায়ত ফজলুর রহমান পটলের স্ত্রী অধ্যক্ষ কামরুন্নাহার শিরিন, নাটোর-২ জেলা বিএনপির সভাপতি রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু রয়েছেন। আর চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে যুগ্ম-মহাসচিব হারুনুর রশিদ।

পাবনা-৪ আসনে হাবিবুর রহমান হাবিবের নাম খসড়া তালিকায় রয়েছে।

ঝিনাইদহ-১ আসনে সাবেক ছাত্রনেতা জয়ন্ত কুমার কুন্ডু ও ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান রিপন, ঝিনাইদহ-২ আসনে মসিউর রহমান, ঝিনাইদহ-৩ আসনে কণ্ঠশিল্পী মনির খান, সাতক্ষীরা-১ আসনে সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, মেহেরপুর-১ আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুণের নাম রয়েছে।

বরিশাল-১ বিএনপির সাবেক তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক জহির উদ্দিন স্বপন, বরিশাল-২ নির্বাহী কমিটির সদস্য সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু, বরিশাল-৩ সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও ভাইস-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন, বরিশাল-৫ আসনে যুগ্ম-মহাসচিব মজিবুর রহমান সরোয়ার মনোনয়ন পাচ্ছেন।

ময়মনসিংহ-১ আসনে বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, ময়মনসিংহ-৪ আসনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের মহাসচিব ও ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) মহাসচিব ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ময়মনসিংহ-১০ আসনে এবি সিদ্দীক এবং আক্তারুজ্জামান বাচ্চুর নাম রাখা হয়েছে। জামালপুর-১ আসনে রাশিদুজ্জামান মিল্লাত, নেত্রকোনা-১ আসনে আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালের নাম রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৮ থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়। এরপরই মূলত প্রার্থীর এ তালিকা করে বিএনপি।