পাকিস্তান হাই কমিশনে চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৬

ঢাকায় পাকিস্তান হাই কমিশনে চুরির ঘটনায় সন্দেহভাজন ছয় ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মহানগর পুলিশের গুলশান জোনের উপ কমিশনার মোস্তাক হোসেন বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তান হাই কমিশনের কনসুলার শাখায় চুরির ঘটনা ঘটে। রোববার সকালে অফিস খোলার পর বিষয়টি কমিশন কর্তৃপক্ষ বুঝতে পেরে গুলশান থানায় অভিযোগ করেন। এরপর সোমবার বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানানো হয়।

বুধবার ডিসি মোস্তাক গুলশান থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, মঙ্গলবার দিনের বিভিন্ন সময়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন- মো. মোস্তফা (৩৫), দুলাল মিয়া (৩৪), মো. সজল ওরফে কালু (২২), জাহাঙ্গীর আলম (৪৫), নিমাই বাবু (৪২) এবং সেকুল ইসলাম (৩৫)।

তিনি জানান, “কনসুলের সিসিটিভি ভিডিও পরীক্ষা করে দেখা যায়, তিনজন চোর নিচতলার জানালা কেটে লাগানো শীতাতপ নিয়ন্ত্রত যন্ত্র খুলে ভেতরে ঢোকে। সেখান থেকে তারা একটি মনিটর, তিনটি পিসি, চারটি ইউপিএস এবং একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র রিকশা ভ্যান ও অটো রিকশায় করে নিয়ে যায়।”

ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যমত বাঁকি তিনজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

গ্রেপ্তারদের মধ্যে মোস্তফা ও দুলাল পেশাদার ছিঁচকে চোর জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একদিন বাতিল মালালাল সংগ্রহ করতে গিয়ে পাকিস্তান হাই কমিশন ভবনের পেছন দিকে অপরিচ্ছন্ন এবং নিরাপত্তাহীন একটি গলি পায়। পরে বিষয়টি মোস্তফাকে জানায়। এর ৪/৫ দিন পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চুরি করতে ঢোকে।’

মোস্তাক হোসেন বলেন, ‘চুরি করা মালামাল যাদের কাছে বিক্রি করেছিল জাহাঙ্গীর, নিমাই এবং সেকুলের কাছে। তাদেরও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে এলিফেন্ট রোডের একজন ব্যবসায়ী গা ঢাকা দিয়েছেন।’

চুরি হওয়া জিনিসের মধ্যে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ছাড়া বাকি সবকিছুই উদ্ধার হয়েছে বলেও জানান ডিএমপির এই কর্মকর্তা।

গুলশানের কূটনীতিক পাড়ায় অবস্থানরত পাকিস্তান হাই কমিশনে চুরির ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশের কাছে জড়িতদের শাস্তি দাবি করে।