প্রার্থীশূন্য আসনে যাদেরকে সমর্থন দিলো বিএনপি

আইনি জটিলতায় প্রার্থীশূন্য হয়ে যাওয়া ৮টি আসনে স্থানীয়ভাবে বিকল্প প্রার্থীদের সমর্থন দিয়েছে বিএনপি। গতকাল শুক্রবার আট আসনে সমর্থন পাওয়া এসব প্রার্থীদের কথা গণমাধ্যমে জানান বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান। এর আগে উচ্চ আদালত থেকে ১৫টি আসনে বিএনপির প্রার্থীরা অযোগ্য ঘোষিত হন। এবার ভোটের শেষ মুহূর্তে এসে দল ও জোটের বাইরেও আটজনকে সমর্থন দিলো বিএনপি।

ঢাকা-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন নবাবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার আবু আশফাক। আইনি জটিলতায় সর্বোচ্চ আদালতে তার প্রার্থিতা স্থগিত হওয়ায় প্রার্থীশূন্য হয়ে পড়ে বিএনপি। এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য (এমপি) অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামকে সমর্থন দেয়া হয়েছে।

সিলেট-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন ‘নিখোঁজ’ এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা। সরকারি চাকরি থেকে অবসরজনিত জটিলতায় আদালত তার প্রার্থিতা স্থগিত করে। এই আসনে গণফোরামের উদীয়মান সূর্য প্রতীকে মুকাব্বির খানকে সমর্থন দিয়েছে বিএনপি।

মানিকগঞ্জ-৩ আসনে ঋণখেলাপির কারণে আফরোজা খান রীতার মনোনয়ন স্থগিত হওয়ায় ঐক্যফ্রন্টের শরিক গণফোরামের নেতা সাবেক এমপি মফিজুল ইসলাম খান কামালকে সমর্থন দিয়েছে বিএনপি।

জয়পুরহাট-১ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ছিলেন ফজলুর রহমান। তার প্রার্থিতা স্থগিত হওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আলেয়া বেগমকে সমর্থন দেয়া হয়েছে।

চাঁদপুর-৪ আসনেএম এ হান্নান ছিলেন বিএনপির প্রার্থী। তার প্রার্থিতা স্থগিত হওয়ায় শেষ মুহূর্তে এসে বিকল্প প্রার্থী লায়ন হারুন অর রশীদকে ধানের শীষ প্রতীক দেয়া হয়েছে।

নীলফামারী-৪ মনোনয়ন পেয়েছিলেন আমজাদ হোসেন। তার প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় পরে দলের বিকল্প প্রার্থী কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীনকে ধানের শীষ প্রতীক দেয়া হয়েছে।

বগুড়া-৭ এ বিএনপির প্রার্থী ছিলেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এখানে বিকল্প প্রার্থী রাখা হয়েছিল গাবতলি উপজেলা চেয়ারম্যান মোর্শেদ মিল্টনকে। আদালতে উভয়েরই প্রার্থিতা বাতিল হয়। এ আসনে বিএনপির একমাত্র ভারসা ছিল বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী শাজাহানপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সদস্য সরকার বাদল। আদালতে তারও মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় আসনটিতে প্রার্থী শূন্য হয়ে পড়ে বিএনপি। শেষ মুহূর্তে স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম বাবলুকে সমর্থন দেয়া হলো।

জামালপুর-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন রশিদুজ্জামান মিল্লাত। তার প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যাওয়ায় ওই আসনে উদীয়মান সূর্য প্রতীকে গণফোরামের ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল হককে বিএনপির সমর্থন দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া আদালতের নির্দেশে শূন্য হয়ে যাওয়া আরও কয়েকটি আসনে বিকল্প প্রার্থীদের সমর্থন দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে বিএনপি সূত্রে জানা গেছে।