শপথ নেয়নি ঐক্যফ্রন্টের ৭ জন

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেননি। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনে ২৯১ জন নতুন সংসদ সদস্য শপথ নেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র তিন এমপি রয়েছেন।

সংসদ ভবনের পূর্ব ব্লকের ১ম লেভেলের (নিচতলায়) শপথ কক্ষে নবনির্বাচিতদের শপথবাক্য পাঠ করান দশম সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এর আগে তিনি নিজেই নিজের শপথবাক্য পাঠ করেন। এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন।

বিধি অনুযায়ী, এরপর সংসদ সদস্যরা শপথের কাগজে স্বাক্ষর করেন এবং পরবর্তী কার্যক্রম হিসেবে রেজিস্ট্রারে স্বাক্ষর করতে বলা হয়।

প্রথমে আওয়ামী লীগের ২৫৬ জন সংসদ সদস্যরা শপথ নেন। পরে পর্যায়ক্রমে শপথ নেন জাসদের (দুই অংশ) ৩ জন, ওয়ার্কার্স পার্টি ৩ জন, তরিকত ফেডারেশনের ১ জন, জাতীয় পার্টির (জেপি) ১ জন ও বিকল্পধারার ২ জন সদস্য। এরপর এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির ২২ জন সদস্য শপথবাক্য পাঠ করেন। এছাড়া স্বতন্ত্র হিসেবে নবনির্বাচিত তিন জন সংসদ সদস্যও শপথ নেন।

তবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের হয়ে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হওয়া নবনির্বাচিত ৭ জন শপথ নেননি। এর মধ্যে বিএনপির ৫ ও গণফোরামের ২ জন রয়েছেন। তারা পরবর্তীতেও শপথ নেবেন কিনা, তা এখনো অনিশ্চিত।

কেননা, বিএনপিসহ বিরোধী জোট নির্বাচনে ‘অনিয়ম ও কারচুপির’ অভিযোগ এনে ফলাফল প্রত্যাখ্যান ও পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি দিতে যাচ্ছেন।

এ নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে ‘ভোট ডাকাতির’ অভিযোগ আনে বিরোধী জোট। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে আওয়ামী লীগ ও নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচিত হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে শপথ না নিলে ঐক্যফ্রন্টের ৭ আসন শূন্য ঘোষিত হবে।

প্রসঙ্গত, সব দলের অংশগ্রহণে গত ৩০ ডিসেম্বর ২৯৯ আসনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৮৮টি আসনে জিতেছে। অন্যদিকে বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মাত্র ৭টি আসনে জয় পায়।