বনানী কবরস্থানে শায়িত হবেন সৈয়দ আশরাফ

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশারাফুল ইসলামকে রোববার রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে। এর আগে ক্ষমতাসীন দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আশরাফের মরদেহ শনিবার সন্ধ্যায় ব্যাংকক থেকে ঢাকায় আনা হবে।

সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা তার মরদেহ গ্রহণ করবেন।

সন্ধ্যা ৭টায় সৈয়দ আশরাফের মরদেহ বেইলি রোডের সরকারি বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে মরদেহ রাতে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হবে।

পরদিন রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় মরহুমের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মরদেহ হেলিকপ্টারে করে কিশোরগঞ্জ নিয়ে যাওয়া হবে এবং দুপুর ১২টায় কিশোরগঞ্জ পুরাতন স্টেডিয়াম মাঠে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

দুপুর ২টায় ময়মনসিংহের আঞ্জুমান ঈদগাঁহ মাঠে তৃতীয় জানাজা শেষে মরদেহ ঢাকায় ফিরিয়ে এনে বাদ আছর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা সৈয়দ আশরাফ দীর্ঘদিন ফুসফুস ক্যান্সারে ভুগে বৃহস্পতিবার রাতে থাইল্যান্ডের এক হাসপাতালে মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।

গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ আসন থেকে টানা পঞ্চমবারের মতো সাংসদ নির্বাচিত হন সৈয়দ আশরাফ। এর আগে ওই আসন থেকে ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হন তিনি।

বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের সব সাংসদ শপথ নিলেও মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম শপথ নিতে পারেননি। শপথগ্রহণের জন্য সময় আবেদন করে স্পিকারের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন বিদেশে চিকিৎসাধীন এ অসুস্থ নেতা।