ধানের শীষের ১৮৩ প্রার্থীর ‘ভোট কারচুপির’ প্রতিবেদন জমা

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘অনিয়ম’ ও ‘ভোট কারচুপির’ বিবরণ দিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করে ধানের শীষের প্রার্থীদের নির্দেশ দিয়েছিল বিএনপি। নির্ধারিত সময়ে ২৯৯ আসনের মধ্যে ১৮৩টি আসনের প্রার্থীরা দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

বিএনপি নেতারা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রার্থীদের পক্ষ থেকে প্রতিবেদনগুলো জমা দেয়া হয়। তাদের ভাষায়, এতে ভোটের আগের রাত এবং ভোটের দিনের বিভিন্ন ধরনের ‘অনিয়ম’ ও ‘ভোট কারচুপির’ বিবরণ রয়েছে। প্রতিবেদনের সঙ্গে প্রমাণ হিসেবে ছবি ও ভিডিওও যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া ভোটকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় আহত, নিহত ও গ্রেপ্তারকৃতদের নাম রয়েছে।

প্রতিবেদন জমা দেয়া ১৮৩ আসনের বেশিরভাগই ঢাকার বাইরের। ঢাকার অধিকাংশ প্রার্থী এখনো প্রতিবেদন জমা দেননি। 

এদিকে একাদশ সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে আলাদা ৩টি কমিটি গঠন করেছে বিএনপি। তবে এ সব কমিটিতে কারা রয়েছেন, তা এখনো জানা যায়নি।

এ বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মোট ১৮৩ জন প্রার্থী তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। আশা করছি, আগামী দু-এক দিনের মধ্যে বাকি প্রার্থীরাও প্রতিবেদন জমা দেবেন।’

অন্য প্রার্থীদের প্রতিবেদন জমা দিতে বিলম্বের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রতিবেদন জমা চেয়ে চিঠিগুলো ডাকযোগে পাঠানো হয়েছে। ফলে অনেক প্রার্থী চিঠি দেরিতে পাওয়ায় প্রতিবেদন তৈরিতে বিলম্ব হচ্ছে।’

বিএনপি নোতারা জানান, সকল প্রার্থীর প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে আসনভিত্তিক একটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করা হবে। প্রমাণ হিসেবে ছবি ও ভিডিও নিয়ে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করা হবে। খুব শিগগিরই সংবাদ সম্মেলনে করে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে। বিদেশি কূটনীতিক এবং দেশি-বিদেশি সংস্থাগুলোকেও চূড়ান্ত প্রতিবেদন সরবরাহ করা হবে।

এ বিষয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘এই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে আসনভিত্তিক মামলা করবেন ধানের শীষের প্রার্থীরা। আগামী ১৮ দিনের মধ্যে আইনি প্রক্রিয়া নেয়া হবে।’

প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর সোমবার আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। এ সময় তার সাথে মন্ত্রিসভার ৪৬ সদস্যও শপথ নেন। বঙ্গভবনের দরবার হলে প্রধানমন্ত্রীসহ এবং নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ।