স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে রাস্তায় ফেলে পেটাল পুলিশ!

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পুলিশ কর্তৃক এক যুবককে পেটানোর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। জানা গেছে, দক্ষিণ জনপদের ভোলার বাংলা স্কুল মোড়ে মোটরসাইকেল কাগজ পরীক্ষার সময় সামান্য বিষয় নিয়ে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে প্রকাশ্যে পেটান এক পুলিশ কর্মকর্তা।

জানা গেছে, ভিডিওতে মার খাওয়া ওই আহত যুবকের নাম আওলাদ হোসেন। তিনি বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ যুগ্ম সম্পাদক। রোববার বিকালে ভোলার বাংলাস্কুল মোড়ে ঘটনাটি ঘটার পর স্থানীয় উপজেলা আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতৃবৃন্দ পুলিশ সুপারের দপ্তরে অভিযোগ করেন। স্থানীয় নেতারা, অভিযুক্ত এএসআই শাহে আলমের শাস্তি দাবি করেছেন।

ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশের এএসআই শাহে আলম মোটরসাইকেলে থাকা যুবক আওলাদকে টেনে হিঁচড়ে নিচে নামিয়ে আনেন। এরপর তাকে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে যুবক মাটিতে পড়ে গেলে তার বুকের ওপর লাথি দিতে থাকেন। ভিডিও মোট দুই মিনিট ৪৭ সেকেন্ডের। 

জানা গেছে, আওলাদ ও তার বন্ধু ছাত্রলীগ নেতা দুটি আলাদা মোটরসাইকেলে বোরহানউদ্দিন থেকে ভোলা জেলা শহরে যাওয়ার পথে শহরের বাংলা স্কুল মোড়ে পুলিশ তাদের বাইকের কাগজপত্র চেক করেন। মোটরসাইকেলের কাগজপত্র ঠিক থাকলেও অপর যাত্রীর হেলমেট না থাকা ও কাগজে অসঙ্গতি থাকায় বাইকটি আটকে রাখেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

এ সময় উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে এএসআই শাহে আলম আওলাদের ওপর চড়াও হন। পরে আওলাদের গলার মাফলার ধরে টেনে মোটরসাইকেল থেকে ফেলে দেন এবং লাথি মারতে থাকেন। পথচারীরা ওই দৃশ্য মোবাইলে ভিডিওতে করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়লে তা ভাইরাল হয়।

অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনায় এএসআই শাহে আলম দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ভোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছগির মিয়া বলেন, 'উভয়পক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সকলকে নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা চলছে।'