‘দুটি ইস্যু সৌদি আরবের সুনাম ধ্বংস করেছে’

দুটি ইস্যু সৌদি আরবের সুনাম বা অবস্থান ধ্বংস করেছে। আর সে দুটি হলো- সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যা এবং ইয়েমেন যুদ্ধ। এ কারণে ব্রিটেনের উচিত রিয়াদের ‘সমালোচক বন্ধু’ হওয়া। ব্রিটিশ গণমাধ্যম স্কাই নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন দেশটির ডিফেন্স কোম্পানি বিএই সিস্টেমের চেয়ারম্যান স্যার রজার কার।

ব্রিটেনের ডিফেন্স কোম্পানি বিএই সিস্টেমের চেয়ারম্যান স্যার রজার কার

বিএই সিস্টেম ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা শিল্পের প্রধান অংশীদার। আর সৌদি আরবে অস্ত্র আমদানির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের পরই ব্রিটেনের অবস্থান।

সাম্প্রতিক সময়ে ওয়াশিংপোস্টের কলাম লেখক ও সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানের অন্যতম সমালোচক সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যা এবং ইয়েমেন যুদ্ধ নিয়ে বিশ্বে ইমেজ সংকটে পড়েছে সৌদি আরব। সেইসঙ্গে তেল আমদানি ও অস্ত্র বিক্রির কারণে দেশটির পশ্চিমা মিত্রদের কর্মকাণ্ডও সমালোচনার মুখে পড়েছে।

মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াশিংটনপোস্টের কলাম লেখক সৌদি নাগরিক সাংবাদিক জামাল খাসোগি

রজার কার বলেন, ‘নতুন নেতৃত্বের অধীনে সৌদি আরব বেশ ভালোই করছিল। যেমন-উদারীকরণ, নারী স্বাধীনতা, দেশকে (বিনিয়োগের জন্য) উন্মুক্ত করা। আর এসব উদ্যোগ ভালোভাবেই গ্রহণ করা হচ্ছিলো।’

‘দুটি ইস্যু বিশ্ব দরবারে সৌদি আরবের এই অবস্থানকে ধ্বংস করেছে। খাসোগি হত্যা হলো তার মধ্যে অন্যতম এবং ইয়েমেন যুদ্ধ।’

তিনি বলেন, ‘খাসোগি ইস্যুতে আমরা দেখেছি, রাজনীতিবিদরা সৌদি আরবকে সতর্ক করেছে। তারা (রিয়াদ) ঘটনাটিকে যেভাবে হ্যান্ডেল করার চেষ্টা করেছে তাও বিশ্বাস করেননি রাজনীতিকরা এবং সেটাই (বিশ্বাস না করা) একদম ঠিক ছিল।’

‘আমরা সঙ্গতিপূর্ণ ও সমালোচক বন্ধু দেখতে চাই এবং সৌদি আরবের প্রয়োজন যে অবস্থায় ছিল সেখানে ফিরে আসা এবং যা করতেছিল তা করা,’ বলেন রজার কার।

ব্রিটেনের এ প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ আরো বলেন, ‘ইয়েমেন ইস্যুতে আমাদের অংশগ্রহণ এ জন্য যে, তাদেরকে একটি পয়েন্টে নিয়ে আসা। তারা (সৌদি) বলছে, এটি আত্মরক্ষামূলক যুদ্ধ, সবাই সেটা এক প্রকার মেনেও নিয়েছে। কিন্তু এখন যেটা দরকার সেটা হলো- যত দ্রুত সম্ভব এর সমাপ্তি টানা।’