বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে কাকরাইল মারকাজের ১০ নির্দেশনা

আগামী ১৫, ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরস্থ টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। বৃহৎ এ সম্মেলন সফল করতে তাবলিগের সাথীদের ১০টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

ফাইল ছবি

আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশের কাকরাইল মারকাজের আহলে শুরার সদস্যরা এ নির্দেশনাগুলো দেন। মারকাজের শুরা সদস্য মাওলানা হুসাইন আহমদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

১০ নির্দেশনায় যা আছে...

এবারে বিশ্ব ইজতেমা তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আগামী ১৫, ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকার অদূরে টঙ্গীতে ইজতেমার আয়োজন করা হবে।’

ইজতেমার দাওয়াত সবার কাছে পৌঁছে দেয়ার নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়, ‘এখন থেকে ৭/১০ দিনের জামাত বের করে ইজতেমার নগদ খুরুজের জন্য জোড় মেহনত করলে ভাল হয়। এক্ষেত্রে প্রত্যেক জেলার বড় বড় ওলামা ও পীর মাশায়েখগণের কাছে গিয়ে দোয়া চাওয়ার পাশাপাশি ইজতেমার দাওয়াত পৌঁছে দেবেন।’

টঙ্গী ময়দান প্রস্তুতে স্বেচ্ছাসেবক পাঠানো বিষয়ে বলা হয়, ‘প্রশাসন থেকে অনুমতি পাওয়ার পর আমরা আপনাদের জানাবো। তবে এখন থেকেই নিজ নিজ জেলা থেকে স্বক্ষম লোক পাঠানোর প্রস্তুত নিন।’

ইজতেমার তিন দিন শৃঙ্খলার কাজে থাকবে এমন স্বেচ্ছাসেবকদের আগেই পাঠাতে হবে জানিয়ে বলা হয়, ‘আপনার জেলা থেকে হার তবকাওয়ারী মেহনত (যেমন ছাত্র, শিক্ষক, খাওয়াছ, ব্যাবসায়ী, মজদুর, গোরাবা ইত্যাদি) পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন।’

বিদেশি ডেলিগেটদের সঙ্গে দাওয়াতের কাজে যেতে ইচ্ছুক এমন সহযোগীদের ব্যাপারে বলা হয়, ‘যে সমস্ত সাথীগণ বিদেশি মেহমানগণের সাথে জুড়বেন তারা রিজার্ভ তাশকিলের কামড়ায় প্রথম থেকেই আলাদাভাবে থাকবেন।’

সর্বোপরি ইজতেমা সফল করতে তাবলিগের সাথীদের মহান আল্লাহর কাছে সহযোগিতা কামনা করে নামাজ, রোজাসহ নফল ইবাদতে মশগুল থাকার আহ্বান জানানো হয়।