চা-চক্রে যারা যাচ্ছেন, যারা যাচ্ছেন না...

আজ শনিবার বেলা সাড়ে ৩টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চা-চক্র ও শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠান। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সরকার প্রধানের এটিই প্রথম কোনো বৈঠক। এতে নির্বাচনের আগে সংলাপে অংশ নেয়া সকল দলকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে এতে অংশ নিচ্ছে না প্রধান বিরোধী জোট ঐক্যফ্রন্ট। এ নিয়ে নির্বাচন পরবর্তী কিছুটা উত্তাপও দেখা গেছে।

জানা গেছে, এ চা-চক্রে কেবল সরকার সমর্থক রাজনৈতিক দল ও জোটের নেতারাই যোগ দিতে যাচ্ছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ট মিত্র ১৪ দল ও মহাজোট এবং জোটের বাইরে বিকল্পধারার নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট, ইসলামিক ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য ও বাংলাদেশ ন্যাপসহ কয়েকটি দল রয়েছে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট্রের পাশাপাশি এ আয়োজনে অংশ নিচ্ছেন না ২০ দলীয় জোট ও গণতান্ত্রিক বাম জোটসহ বিরোধী নেতারা। বিষয়টি অনানুষ্ঠানিকভাবে স্পষ্ট করেছেন সংশ্লিষ্ট নেতারা। এরইমধ্যে চা-চক্রে যোগ না দেয়ার বিষয়টি জানিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে গণভবনে চিঠিও দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। শুক্রবার পাঠানো ওই চিঠিতে আমন্ত্রণের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি অনুষ্ঠানে যোগ না দেয়ার কারণও ব্যাখ্যা করা হয়।

গত ২৬ জানুয়ারি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সিনিয়র নেতাদের চা-চক্র ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ১ ও ৭ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সাথে গণভবনে সংলাপে বসেছিলেন ড. কামাল হোসেনসহ ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।

এদিকে আটটি বাম দলের জোট ‘বাম গণতান্ত্রিক জোট’ও প্রধানমন্ত্রীর চা-চক্রে যাচ্ছে না। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জোটের সমন্বয়ক ও সিপিবির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর চা-চক্রের আমন্ত্রণ পেলেও আমরা যাচ্ছি না। কারণ, এতে যোগ দেয়ার মতো পরিবেশ নেই। ৩০ ডিসেম্বর যে নির্বাচন করা হয়েছে, তারপর এ আমন্ত্রণ জানানোর কোনো মানে হয় না।’

এক প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিএনপিসহ অন্যরা রাজনৈতিক আলাপও করতে পারতেন। সেই সঙ্গে তিনি প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপিকে এ নিয়ে সতর্কও করে দিয়েছেন।