১০ বছরে ১৬ হাজার অগ্নিকাণ্ড, নিহত ১৫৯০

গত ১০ বছরে সারাদেশে ছোট-বড় প্রায় ১৬ হাজার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এক হাজার ৫৯০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে এক পরিসংখ্যানে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। এ হিসাবের বাইরে হতাহতের দিক দিয়ে তৃতীয় বৃহৎ ঘটনা ঘটে গেলো গত বুধবার রাতে পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায়। ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন আরো ৪১ জন।

নিমতলীতে অগ্নিকাণ্ড

ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ সালে পুরান ঢাকার নিমতলীর আগুনে ১২৪ জন নিহত হওয়ার ঘটনাটিকে সবচেয়ে বড় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এরপরেই আছে সাভারের তাজরীন গার্মেন্টসের আগুনে ১১১ জনের প্রাণহানির ঘটনা।

এরপর পর্যায়ক্রমে ২০১৬ সালে টঙ্গীর টাম্পাকো ফয়েলস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ৪১ জন, ২০১০ সালে সাভারের আশুলিয়ায় দ্যাটস ইট স্পোর্টস ওয়্যারে ২৯ জন, একই বছর গাজীপুরের একটি গার্মেন্টসে ২১ জন এবং ২০১৭ সালে গাজীপুরের ম্যাটিফ্যাবসের বয়লার বিস্ফোরেণ ১৩ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

তাজরীন গার্মেন্টসে অগ্নিকাণ্ড

ফায়ার সার্ভিসের পরিসংখ্যান বলছে, বিগত ১০ বছরের মধ্যে সারা দেশে সবচেয়ে বেশি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ২০১০ সালে। ওই বছর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২৭১ জনের প্রাণহানি ঘটে। এছাড়া সবচেয়ে বেশি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ঢাকায় এবং সবচেয়ে কম সিলেটে।

অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের সংখ্যা এতো বেশি হওয়ার পেছনে অগ্নিপ্রতিরোধক ব্যবস্থাকে দায়ী করেছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহাম্মেদ খান। তিনি বলেন, 'অগ্নিপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে বিনিয়োগ হিসেবে রাখতে হবে। অগ্নিকাণ্ডের পর অন্তত ১০-১৫ মিনিট আগুন প্রতিরোধ করার মতো নিজস্ব ব্যবস্থা থাকতে হবে। সেই সঙ্গে জন সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ফায়ার স্টেশনের সংখ্যা আরও বাড়ানো প্রয়োজন।'