প্রত্যক্ষদর্শীর জবানে বিমান ছিনতাইয়ের ‘লোমহর্ষক’ বর্ণনা

ছিনতাই হওয়ার আশঙ্কায় বাংলাদেশ বিমানের দুবাইগামী একটি ফ্লাইট চট্টগ্রামের শাহ্ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রোববার বিকালে জরুরি অবতরণ করে। পরে রাত পৌণে ৮টার দিকে ছিনতাইকারীকে আটক করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এই ঘটনায় যাত্রীরা নিরাপদে অবতরণ করতে পেরেছেন।

চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটির ভেতরের পরিস্থিতি অনলাইন নিউজপোর্টাল জাগো নিউজকে জানিয়েছেন ইভা নামের এক যাত্রী। ফ্লাইটটি অবতরণ করার আগে তিনি গোলাগুলি এবং কান্নাকাটির শব্দ শুনেছেন বলে বর্ণনা করেন।

ইভা বলেন, ‘ফ্লাইটে হঠাৎ গুলির শব্দ শুনতে পাই। তখন সবাই ছোটাছুটি শুরু করেন। আর প্লেনটিও বারবার উঁচু-নিচু করছিল। এমন অবস্থায় বিমানের ভেতরের যাত্রীরা সবাই কান্নাকাটি শুরু করে দেয় এবং দোয়া-দরুদ পড়তে থাকে। প্রথমে ভেবেছিলাম প্লেনে আগুন লেগেছে।’

নিরাপদে বিমান থেকে অবতরণের পর এই যাত্রী বলেন, ‘চিল্লাচিল্লির সময় এয়ার হোস্টেসসহ অন্যযাত্রীরা সিটবেল্ট বেঁধে বসেছিল। বেশকিছু সময় এমন থাকার পর প্লেনটি ল্যান্ড করে।’

ইভা ছিনতাইকারীকে দেখেননি জানিয়ে বলেন, আমরা সবাই নিজের জীবন নিয়ে ভয়ে ছিলাম। প্রথমে গেট দিয়ে নামতে পারি নাই। পরে প্লেনের পাশের জরুরি গেট দিয়ে সকলকে নিচে নামানো হয়।

বাংলাদেশ বিমানের এই ফ্লাইটটির নম্বর ছিলো বিজি-১৪৭। এতে ১৪২ জন যাত্রী ও ৫ জন ক্রু ছিলেন। ছিনতাই হওয়ার আশঙ্কায় এটি রোববার বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে।

বিমানটি অবতরণের সাথে সাথেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিমানটিকে ঘিরে ফেলে। এর কিছুক্ষণ পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নেন। পরে এক পর্যায়ে আত্মসমর্পন করে ওই ছিনতাইকারী। তার ব্যাপারে এখনও বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।