বিশিষ্ট সাংবাদিক শাহ আলমগীর আর নেই

বিশিষ্ট সাংবাদিক ও প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক মো. শাহ আলমগীর আর নেই। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা যান তিনি, ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার পরিবারের পক্ষ থেকে তথ্যটি নিশ্চিত করা হয়েছে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে শাহ আলমকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ২২ ফেব্রুয়ারি তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় তিনি মারা যান।

শাহ আলগীর মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক ছেলে ও মেয়েসহ আত্মীয়স্বজন, রাজনৈতিক সহকর্মী, অসংখ্য শুভাকাঙ্খী রেখে গেছেন। তাঁর স্ত্রী ফৌজিয়া বেগম একটি ওষুধ কোম্পানিতে এবং ছেলে আশিকুল আলম এইচএসবিসি ব্যাংকে চাকরি করেন। আর মেয়ে অর্চি অনন্যা একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিষয়ে পড়াশোনা করছেন।

বিশিষ্ট সাংবাদিক শাহ আলমগীর ২০১৩ সালে পিআইবির মহাপরিচালক পদে নিয়োগ পান। পরে ২০১৮ সালে তার চাকরির মেয়াদ আরো এক বছর বৃদ্ধি করে সরকার। তিনি এক সময় ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

পেশাগত জীবনে তিনি উপমহাদেশের প্রথম শিশু-কিশোর পত্রিকা সাপ্তাহিক ‘কিশোর বাংলা’য় (১৯৮০-১৯৮৪) সহ-সম্পাদক হিসেবে সাংবাদিকতা শুরু করেন। এরপর দৈনিক জনতা, বাংলার বাণী, আজাদ ও সংবাদ, প্রথম আলো, চ্যানেল আই, একুশে টেলিভিশন, যমুনা টেলিভিশন ও মাছরাঙা টেলিভিশনে বিভিন্ন পদে কাজ করেন।

শাহ আলমগীর কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ সাহিত্য পুরস্কার-২০০৬, চন্দ্রাবতী স্বর্ণপদক-২০০৫, রোটারি ঢাকা সাউথ ভকেশনাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০০৪ এবং কুমিল্লা যুব সমিতি অ্যাওয়ার্ড ২০০৪ লাভ করেছেন।

এই গুণী সাংবাদিকের পৈতৃক বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে। তবে পিতার চাকরির সুবাদে বৃহত্তর ময়মনসিংহে গৌরীপুর কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স করেন।