চকবাজার ট্রাজেডি: মালিক-ভাড়াটিয়া দুপক্ষই অভিযুক্ত

রাজধানীর পুরান ঢাকায় চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বাড়ির মালিক ও গোডাউনের ভাড়াটিয়া উভয় পক্ষই দায়ী। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার তাদের অভিযুক্তও করা হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার এসআই মুন্সী আতিকুর রহমান।

ভয়াবহ আগুনে জ্বলছে ওয়াহেদ ম্যানশন

তিনি জানান, ওয়াহেদ ম্যানশনে গোডাউন ভাড়া দেয়া হয়েছিল। এজন্য ওই বাড়ির মালিক হাসান ও সোহেল এবং গোডাউনের ভাড়াটিয়া বোম্বাইয়াকে অভিযুক্ত করা হবে।

এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে কয়েকটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন হাতে পেয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মুরাদুল ইসলাম। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘জমা পড়া প্রতিবেদন এবং গণমাধ্যমের সংবাদ দেখে মনে হচ্ছে, ওয়াহেদ ম্যানশনের দ্বিতীয় তলায় গড়ে ওঠা কেমিক্যাল গোডাউন থেকেই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। ফলে এ ঘটনায় ওই ভবনের মালিক ও গোডাউনের মালিককে দায়ী হিসেবে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয়া হবে।’

কিন্তু ঘটনার পর থেকে বাড়ির মালিক হাসান ও সোহেলকে সম্ভাব্য সব জায়গায় খুঁজেছে পুলিশ। কিন্তু তাদের কোথাও পাওয়া যায়নি। একই ঘটনা গোডাউনের মালিক বিহারী বোম্বাইয়ার ক্ষেত্রেও।

এ বিষয়ে চকবাজার থানার এক এসআই জানান, বোম্বাইয়ার খোঁজে হাজি গোফরান আলী নামে একজন থানায় এসেছিলেন। তার ভাতিজা পরিচয় দেয়া ওই ব্যক্তিও চাচার কোনো খোঁজ পাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন। তাদের ধারণা, হয়তো বোম্বাইয়া সেদিন আগুনে পুড়ে মারা গেছেন। কিন্তু পুলিশর প্রশ্ন, তিনি মারা গেলে মরদেহ গেলো কোথায়?

প্রসঙ্গত, ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৭১ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আরও অন্তত ৪১ জন গুরুতর দগ্ধ হন। নন্দকুমার দত্ত রোডের শেষ মাথায় চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পাশে ওয়াহিদ ম্যানশন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানা যাচ্ছে। এ আবাসিক ভবনটিতে রাসায়নিকের গুদাম থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

এ ঘটনায় নিহত জুম্মানের ছেলে আসিফ আহমেদ বাদী হয়ে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভবনের মালিক হাসান ও সোহেলসহ ১২ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। দণ্ডবিধির ৩৩৪ (ক)/ ৪৩৬/ ৪২৭/ ৩৪ ধারায় করা ওই মামলা নম্বর ৫০।