উত্তাল ঢাবি, ক্যাম্পাস জুড়ে বিক্ষোভ, সমাবেশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে অনিয়ম, কারচুপি, জালভোট ও ছাত্রলীগের আধিপত্যের অভিযোগ এনে বিভিন্ন সংগঠন ও সাধারণ ছাত্রদের ডাকা বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। বিক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীরা পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে মিছিল ও সমাবেশ করছে।

নির্বাচনে অনিয়ম, কারচুপি, জালভোটের অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছে ছাত্রদল। সেখানে তারা ভিসির পদত্যাগ চেয়ে স্লোগান দিচ্ছে।

ছাত্রদলের ভিপি মোস্তাফিজ রহমান বলেন, তারা এই অবস্থান কর্মসূচি থেকে ডাকসু নির্বাচনের পুনঃতফসিল ও পুনঃনির্বাচন দাবি জানান।

একইসাথে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছে বাকি ছাত্রলীগ ছাড়া বাকি সাতটি প্যানেল। একইসাথে পুনঃভোট আয়োজনের দাবি জানিয়েছে তারা।

এছাড়া ভোট জালিয়াতির প্রতিবাদে আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচির ডাক দিয়েছে সবগুলো প্যানেল।

বাম সংগঠনগুলোর জোট প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্লাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, স্বাধিকার স্বতন্ত্র পরিষদ ও স্বতন্ত্র জোট সম্মিলিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে একটি সংবাদ সম্মেলন করে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রহসন-জালিয়াতির এই নির্বাচন বাতিল করে পুনঃতফসিল ঘোষণা করতে হবে। হলে নয়, নতুনভাবে ভোট হতে হবে একাডেমিক ভবনে। সেই নির্বাচনে ব্যালট বাক্স হতে হবে স্বচ্ছ।

এর আগে নির্বাচনে নীল নকশার অভিযোগ এনে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রলীগ ছাড়া অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলো। বিক্ষোভ মিছিল থেকে উপাচার্য মো: আখতারুজ্জামান ও প্রক্টর গোলাম রব্বানীর পদত্যাগ দাবী করা হয়।

আজ সারাদিন ধরেই ঢাবির পরিস্থিতি ছিলো উত্তেজনাময়। দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলে ব্যালট বক্স নিয়ে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ছলচাতুরির অভিযোগ আনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় সেখানে কোটা আন্দোলনের নেতা ও আজকের নির্বাচনে ভিপি প্রার্থী নুরুল হক নুরু গেলে তাকে মারধর ও লাঞ্চিত করা হয়। আহত অবস্থায় তাকে চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে শহীদুল্লাহ্ হলেও ছাত্রদলের প্রার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান গণমাধ্যমের কাছে এ অভিযোগ করেন।

এছাড়া সকাল থেকে কুয়েত-মৈত্রী হলে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ এনে এক-দেড় ঘণ্টা ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকে। এ ঘটনায় ওই হলের প্রভোস্টকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে।