বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে পাঁচটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই

অভ্যন্তরীণ নৌপথ, স্বাস্থ্য, কৃষি, পর্যটন খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি ও জনপ্রশাসন প্রশিক্ষণের বিষয়ে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে বাংলাদেশ ও ভুটান। শনিবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিংয়ের মধ্যে আনুষ্ঠানিক আলোচনার পর চুক্তিগুলো স্বাক্ষর করা হয়।

এ সব দ্বিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে জাহাজ পরিবহন, স্বাস্থ্য, কৃষি, পর্যটন খাত এবং উভয় দেশের জনপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা তৈরিতে দুদেশের সম্পর্ক জোরদার হবে বলে আশা করা হচ্ছে। দুদেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে পাঁচটি এমওইউ সই হয়।

নৌ পরিবহন সচিব মো. আবদুস সামাদ ও ভুটানের অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব দাশো ইয়েশি ভাংদি দুদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে পরিবহন ও ট্রানজিট কার্গো চলাচলের জন্য অভ্যন্তরীণ নৌপথ ব্যবহারের বিষয়ে ‘দ্যা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি)’ বিষয়ক একটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং র‌য়্যাল গভর্নমেন্ট অব ভুটানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে এমওইউ সই করেন স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব মো. আশাদুল ইসলাম ও ভুটানের স্বাস্থ্য সচিব ড. উগেন দফু।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা পরিষদ (বিএআরসি) এবং ভুটানের কৃষি ও বন মন্ত্রণালয়ের কৃষি বিভাগের মধ্যেকার এমওইউ সই করেন বিএআরসি’র নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. মো. কবির ইকরামুল হক এবং ভুটানের রাষ্ট্রদূত সোনম তোবদেন রাবগাই।

বাংলাদেশ জনপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের রেক্টর ড. এম আসলাম আলম এবং ভুটানের রাষ্ট্রদূত সোনম তোবদেন রাবগাই বিপিএটিসি ও রয়্যাল ইনস্টিটিউট ফর ম্যানেজমেন্ট (আরআইএম) এর মধ্যে এমওইউতে সই করেন।

বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান খান কবির এবং ভুটানের রাষ্ট্রদূত সোনম তোবদেন রাবগাই বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন ও ভুটানের পর্যটন কাউন্সিলের মধ্যে এমওইউ সই করেন।

এর আগে শনিবার সকাল ১০টায় লোটে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার জন্য সফররত ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যান। টাইগার গেটে তাকে স্বাগত জানান শেখ হাসিনা। এরপর দুদেশের নেতারা বৈঠকে যোগ দেন।

চার দিনের সরকারি সফরে শুক্রবার সকালে বাংলাদেশে আসেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইউএনবি।