বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়া ১৫ জনের ‘এ টু জেড’

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল নিয়ে আগে খুব বেশি আলোচনা হয়নি। ১২-১৩ জনের নাম অনেকটা চূড়ান্তই ছিল। তবে বাকি যে দু’তিনটি জায়গা নিয়ে সংশয় ছিল সেখানে বড় চমকই দেখাল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। পেসার তাসকিন আহমেদের জায়গা হয়নি বিশ্বকাপ দলে।

তার বদলে ওয়ানডে অভিষেক না হওয়া আবু জায়েদ রাহিকে বিশ্বকাপ দলে নেওয়া হয়েছে। ইমরুল কায়েসকে আবারও উপেক্ষিত রাখা হয়েছে। হঠাৎ করে দলে অন্তর্ভূক্ত হয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন। এসব নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এসবের ফাঁকে চলুন বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাওয়া ১৫ জনের ওয়ানডে পরিসংখ্যান দেখে নেওয়া যাক।

মাশরাফি বিন মর্তুজা (পেসার): এখন পর্যন্ত ২০৫টি ওয়ানডে খেলে ৩১.৭১ গড়ে ২৫৯ উইকেট নিয়েছেন মাশরাফি। ব্যাট হাতেও জ্বলে উঠার অনেক উদাহরণ আছে মাশরাফির। ১৪.০১ গড়ে ব্যাট হাতে রান করেছেন ১৭৫২।

সাকিব আল হাসান (অলরাউন্ডার): সাকিব এখন পর্যন্ত ১৯৫ ম্যাচ খেলে ৩৫.০৭ গড়ে রান করেছেন ৫৫৭৭। তার ওয়ানডে সেঞ্চুরি ৭টি, হাফ সেঞ্চুরি ৪০টি। পাশাপাশি বল হাতে ২৯.৬৮ গড়ে উইকেট নিয়েছেন ২৪৭টি।

তামিম ইকবাল (ওপেনার): তামিম এখন পর্যন্ত ওয়ানডে খেলেছেন ১৮৯টি। যাতে রান করেছেন ৬৪৬০। দেশসেরা ওপেনারের সেঞ্চুরি ১১টি, হাফ সেঞ্চুরি ৪৪টি। ব্যাটিং গড় ৩৬.০৮।

মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান): ২০১ ওয়ানডেতে মুশফিকুর রহিম রান করেছেন ৫৩৯২। মুশফিকের ওয়ানডে সেঞ্চুরি ৬টি, হাফ সেঞ্চুরি ৩২টি। ব্যাটিং গড় ৩৪.৫৬।

মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (স্পিনিং অলরাউন্ডার): মাহমুদুল্লাহ ১৭১ ম্যাচে রান করেছেন ৩৬৭৩। সেঞ্চুরি ৩টি, হাফ সেঞ্চুরি ২০টি। তার ব্যাটিং গড় ৩৩.৩৯। পাশাপাশি ৪৬.০৬ গড়ে উইকেট নিয়েছেন ৭৬টি।

মোহাম্মদ মিঠুন (ব্যাটসম্যান): এখন পর্যন্ত ১৫ ওয়ানডে খেলে ৩৬০ রান করেছেন মিঠুন, গড় ৩২.৭২। সেঞ্চুরি পাননি এখনো, হাফ সেঞ্চুরি করেছেন চারটি।

লিটন দাস (ওপেনার): ২৭ ওয়ানডেতে লিটন দাস রান করেছেন ৫০৮। গত এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের একমাত্র সেঞ্চুরিটি পেয়েছেন তিনি। হাফ সেঞ্চুরি আছে একটি। ধারাবাহিকতার অভাবের কারণে ব্যাটিং গড়টা মাত্র ১৯.৫৩।

সাব্বির রহমান (স্পিনিং অলরাউন্ডার): এখন পর্যন্ত ৫৭ ওয়ানডে খেলা সাব্বির ব্যাট হাতে রান করেছেন ১২১২। সেঞ্চুরি একটি, হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন ৫টি। ব্যাটিং গড় ২৬.৩৪। পাশাপাশি উইকেট নিয়েছেন ৩টি।

সৌম্য সরকার (ওপেনার): ৪১ ম্যাচ খেলা সৌম্য সরকারের মোট রান ১২৭৪। দুটি সেঞ্চুরি সঙ্গে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন সাতটি। ব্যাটিং গড় ৩৪.৪৩। মাঝে মধ্যে পেস বোলিং করে উইকেট পেয়েছেন একটি।

মেহেদী হাসান মিরাজ (স্পিনিং অলরাউন্ডার): ২৫ ম্যাচ খেলে ব্যাট হাতে মিরাজ রান করেছেন ২৯১। সেঞ্চুরি পাননি, হাফ সেঞ্চুরি একটি। ব্যাটিং গড় ২০.৭৮। ৩৫.০৭ গড়ে বল হাতে উইকেট তুলে নিয়েছেন ২৬টি।

মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত (স্পিনিং অলরাউন্ডার): ২৪ ম্যাচ খেলা মোসাদ্দেক ব্যাট হাতে করেছেন ৩৪১ রান। সেঞ্চুরি পাননি, হাফ সেঞ্চুরি করেছেন একটি। পাশাপাশি ৪১.২৭ গড়ে উইকেট নিয়েছেন ১১টি।

মোস্তাফিজুর রহমান (পেসার): ৪৩ ওয়ানডে খেলা মোস্তাফিজ ২১.৭১ গড়ে উইকেট নিয়েছেন ৭৭টি। ব্যাট হাতে ৯.৫০ গড়ে করেছেন ৫৭ রান।

রুবেল হোসেন (পেসার): ৯৬ ম্যাচ খেলা রুবেলের ওয়ানডে উইকেট ১২২টি। গড় ৩২.৯৪। ব্যাট হাতে ১২৩ রান করেছেন অভিজ্ঞ পেসার।

সাইফুদ্দিন (পেস অলরাউন্ডার): ১০ ম্যাচ খেলা সাইফুদ্দিন বল হাতে নিয়েছেন ৭টি। ব্যাট হাতে করেছেন ১৭৫ রান। ব্যাটিং গড় ২৯.১৬। সেঞ্চুরি পাননি, হাফ সেঞ্চুরি করেছেন একটি।

আবু জায়েদ রাহি (পেসার): বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে এখনো অভিষেক হয়নি তরুণ এই পেসারের।