পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ গেল ২১ ছাত্রের

পাকিস্তানের 'বাচা খান' বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলায় কমপক্ষে ২১ জান ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছে দেশটির সবচেয়ে জনপ্রিয় গণমাধ্যম 'ডন'। সংবাদ মাধ্যমটির দাবি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাল্টা হামলায় আক্রমণকারীদের ৪ জন প্রাণ হারান।

প্রাথমিকভাবে কারা এই হামলা করেছে এ বিষয়ে সঠিক কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোষ্টের মাধ্যমে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে তেহরিকে তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) মনসুর গ্রুপ। মনসুর গ্রুপের দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলায় ৪ জন অংশ নেন।

তবে মনুগ্রুপের দাবির পর তা অস্বীকার করেছে তেহরিকে তালেবান পাকিস্তানের মুখপাত্র মোহাম্মদ খোরাসানি। এক বিবৃতিতে খোরাসানি বলেন, এই আক্রমণ ইসলামবিরোধী। যারা টিটিপির নাম ভাঙিয়ে বিবৃতি দিচ্ছেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা বাচা খানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত কবিতা পাঠের অনুষ্ঠানে একদল হামলাকারী নির্বিচারে গুলি করে। অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে তথন ২০০ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছিল বলে জানা গেছে।

প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শাহ ফরমান বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে বলেই হতাহতের ঘটনা কম ঘটেছে । হামলাকারীদের চারজন নিহত হয়েছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেনেন্ট জেনারেল অসীম বাজওয়া এবং প্রত্যক্ষদর্শীর দেওয়া তথ্যমতে, হামলাকারীরা সাধারণ মানুষের বেশে ঘটনাস্থলে প্রবেশ করে গুলি চালায়। হামলাকারীদের সবাই বয়সে সবচেয়ে তরুণ। ঘটনাস্থলেই কয়েকজন নিহত হন।আহতদের প্রদেশের প্রধান হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ২১জন আর আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫০ জন। হাসপাতালটির বাইরে জরুরি অবস্থাজারি করা হয়েছে।

এদিকে সুইজারল্যান্ডে অবস্থানরত দেশটির প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ বলেছেন, যারা নিরাপরাধ মানুষের প্রাণ কেড়ে নেন তারা কোন ধর্মের অনুসারী হতে পারেন না। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনি আরো পড়তে পারেন

‘জিহাদি জন’-এর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করলো আইএস

সেলফি তুলতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ভারতে

নরেন্দ্র মোদীকে আইএস-এর হুমকি