ডাকসুর আজীবন সদস্য হলেন প্রধানমন্ত্রী, নুরের বিরোধিতা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) আজীবন সদস্য হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার ডাকসুর কার্যনির্বাহী পরিষদের এক সভায় এ সদস্যপদ দেয়া হয়। সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠদের মতামতের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রীকে এ পদ দেয়া হয়।

বিষয়টি জানিয়ে গণমাধ্যমে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে যেখানে ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানীর স্বাক্ষর থাকলেও ভিপি নুরুল হক নুরের স্বাক্ষর ছিল না।জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীকে ডাকসুর আজীবন সদস্য করার বিষয়ে অসম্মতি জানিয়েছেন, সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর ও সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক আখতার হোসেন।

ডাকসুর সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘সবার সম্মতিতে প্রধানমন্ত্রীকে ডাকসুর আজীবন সদস্যপদ দেয়া হয়েছে।’ তবে এ ব্যাপারে নুর জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তি। তিনি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নির্বাহী প্রধান। এখানে তাকে ডাকসুর আজীবন সদস্য পদ দেওয়া খুব বড় কিছু না। ডাকসু নির্বাচনটি একটি বিতর্কিত নির্বাচন। এই বিতর্কিত নির্বাচনে আমরা চাই না প্রধানমন্ত্রীকে আজীবন সদস্য করা হোক।

সভায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে ডাকসুর বার্ষিক বাজেট সর্বমোট ১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ১৯৭৩ সালের ২ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ডাকসুর আজীবন সদস্যপদ প্রদানের স্মারকপত্র ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপন করেন ডাকসুর সদস্য রাকিবু হাসান রাকিব। যা এজেন্ডাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

পাশপাশি স্বাস্থ্যবীমা চালু করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উদ্যোগ নেবে বলে আশ্বস্ত করেন ডাকসুর সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এছাড়াও ক্যাম্পাসে গণপরিবহন ও রিকশা ভাড়া নির্ধারণে পলিসি ডায়ালগ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।