বুথ থেকে টাকা হাতাতে ইউক্রেন থেকে বাংলাদেশে তারা

গত ১ জুন শনিবার সন্ধ্যার ঘটনা। রাজধানীর খিলগাঁও তালতলা এলাকার ডাচ বাংলা ব্যাংকের একটি বুথ থেকে অভিনব পদ্ধতিতে টাকা হাতিয়ে নেয়ার সময় ইউক্রেনের এক নাগরিককে আটক করেন বুথের নিরাপত্তাকর্মী। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাতে রাজধানীর পান্থপথের হোটেল ওলিও ড্রিম হ্যাভেনে অভিযান চালিয়ে আরও পাঁচ নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়।

তারা হলো- ভ্যালেনটাইন (পাসপোর্ট নম্বর ইওয়াই ০৫১৫৬২), ওলেগ (পাসপোর্ট নম্বর ইএক্স ০৮৯৯৬৩), ডেনিস (পাসপোর্ট নম্বর এফএল ০১৯৮৩৪) নাজেরি (পাসপোর্ট নম্বর এফটি ৫০০৫০১), সারগি (পাসপোর্ট নম্বর এফএইচ ৪২৪৩৯৪) ও ভোলোবিহাইন (পাসপোর্ট এফটি ৩৭৯৯৮৩)।

অভিযানের বিষয় জানতে পেরে চক্রের আরেক সদস্য ভিটালি (পাসপোর্ট নম্বর এফই ৮০৪৪৪৮) পালিয়ে যায়। তাকে ধরার জন্য রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে অভিযানও চালানো হয়।

পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কাঙ্ক্ষিত এটিএম বুথে প্রবেশের পর ওই বিদেশি জালিয়াতরা মোবাইল ফোনে ইউক্রেনে থাকা অপর সহযোগীদের সঙ্গে কথা বলতো। তখনই বুথের মেশিন ও সফটওয়্যারের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ হবার পর এক ধরনের ডিসকাউন্ট কার্ড দিয়ে টাকা তুলে নেয় জালিয়াত চক্রের সদস্যরা।

মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) আবদুল বাতেন।

তিনি জানান, আট দিনের টুরিস্ট ভিসা নিয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ আসে ইউক্রেনের সাত নাগরিক। তারা জালিয়াতির মাধ্যমে এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলে নেয়ার উদ্দেশ্যেই বাংলাদেশ আসে। তাদের পরবর্তী টার্গেট ছিল পাশের দেশ ভারত।

এর আগে গত ৩ জুন সোমবার জালিয়াত চক্রের সদস্য ইউক্রেনের ছয় নাগরিককে আদালতে সোপর্দ করার পর তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।

প্রথম দিনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আবদুল বাতেন ওইসব তথ্য জানান।

ডিএমপির এ কর্মকর্তা বলেন, আমাদের এটিএম বুথগুলোতে এনসিআর কোম্পানির মেশিন ও সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়। তারা প্রযুক্তিগত বিষয়গুলো খুব একটা জানে না। তারা শুধু ব্যবহার হয়েছে। এমনকি তারা যে মোবাইল ফোনে কথা বলেছে সেটাও রোমিং করা।