যুবলীগ নেতা হত্যা মামলা: ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে আলোচিত ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মনিরুল ইসলাম হত্যা মামলায় নয় জনকে মৃত্যুদণ্ড ও দুই জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত সবাইকে দুই লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শওকত আলী এ রায় দেন। এছাড়াও অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অভিযুক্ত ১৫ জন আসামির মধ্যে চারজনকে খালাস দেন আদালত।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার রসিকনগর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম ওরফে সেন্টু ও আব্দুল মালেক, বালিয়াদিঘী গ্রামের সিরাজুল ইসলাম ও আখেরুল ইসলাম, চতুরপুর গ্রামের তোহরুল ইসলাম ওরফে টুটুল, চরভবানীপুর গ্রামের শরিফুল ইসলাম ওরফে শরীফ, সাহাপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলাম, পারচৌকা গ্রামের মোহাম্মদ মাসুদ এবং ছত্রাজিতপুরের আব্দুস সালাম।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সদর উপজেলার মহারাজপুরের মাসুদ ওরফে লালচান ও রাজশাহীর বেলপুকুর গ্রামের পারুল বেগম।

এছাড়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ জন আসামীকে দুই লাখ টাকা করে জরিমানা এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুইজন আসামীকে দুই লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে এক বছর করে কারাদণ্ডাদের আদেশ দেন আদালত।

এই হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীদের মধ্যে আটজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুস সালাম ও মো. মাসুদ এবং যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামী পারুল বেগম বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।

এদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত বালিয়াদিঘী গ্রামের বেনাউল ইসলাম, সেলিম রেজা, ওবাইদুর রহমান ও খাইরুল ইসলামকে বেকসুর খালাস দেয়। তারাও রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া সেই মনিরুল ইসলাম স্থানীয় শাহবাজপুর ইউনিয়ন যুবলীগের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ও শিবগঞ্জ উপজেলার সোনামসজিদ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন।

আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আঞ্জুমান আরা বলেন, মনিরুল ইসলামকে ২০১৪ সালের ২৪ অক্টোবর তার গ্রামের বাড়ি শিয়ালমারা থেকে ডেকে নিয়ে যায় ওই সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন সভাপতি আখেরুল ইসলাম ও তার সঙ্গীরা। এরপর ওইদিন সন্ধ্যায় তাকে শিবগঞ্জ স্টেডিয়ামের কাছে গুলি করে হত্যা করে। এর পরদিন শিবগঞ্জ থানায় মনিরুল ইসলামের স্ত্রী রহিমা বেগম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ব্যক্তিগত বিরোধের জেরে এবং সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে মনিরুল ইসলামকে হত্যা করা হয়েছে।