নিউজিল্যান্ডের মানচিত্র থেকে উধাও ইসরায়েল!

সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের একটি মানচিত্র প্রকাশ করেছিল নিউজিল্যান্ডের সরকারি ওয়েবসাইট ইমিগ্রেশন নিউজিল্যান্ড। কিন্তু সেখানে ইসরায়েল নামক দেশটির অস্তিত্ব ছিলো না। তবে ফিলিস্তিনের অবস্থান ছিলো ওই মানচিত্রে। যা নিয়ে ইসরায়লের গণমাধ্যমগুলোতে ফলাও করে সংবাদ পরিবেশন করা হয়।

নিউজিল্যান্ডের বাণিজ্য, উদ্ভাবন ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হয় ইমিগ্রেশন নিউজিল্যান্ড নামের সংস্থাটি। দেশটির অভিবাসন ব্যাবস্থাপনা, ট্রাভেল ভিসা ইস্যু, সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ আরোপ সংক্রান্ত কাজগুলো করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। এই সংস্থাটির ওয়েবসাইটে মানচিত্রটি প্রকাশ করা হয়।

খবরটি নিশ্চত করে ইসরায়েলি গণমাধ্যম জেরুজালেম পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি একটি ফ্যাক্ট শিট এবং মধ্যপ্রাচ্যের একটি মানচিত্র প্রকাশ করা হয় ইমিগ্রেশন নিউজিল্যান্ডের ওয়েবসাইটে। যেখানে ইসরায়েলের অস্তিত্ব ছিলো না। ফ্যাক্ট শিটে ফিলিস্তিনি অভিবাসীদের তথ্য দেওয়া হয়, যারা বর্তমানে নিউজিল্যান্ডে শরণার্থী হিসেবে অবস্থান করছে। ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে পূর্ব জেরুজালেমের নামও উল্লেখ করা হয় ওই ফ্যাক্ট শিটে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় ইসরায়েল কর্তৃক আরোপিত অবরোধ ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গ টানা হয় ওই ওয়েবসাইটে। যদিও এ সম্পর্কে বিস্তারিত ছিলো না সেখানে। দ্বিতীয় ইন্তিফাদার সময় ইসরায়েল ফিলিস্তিনি নাগরিকদের ওপর ব্যাপক দমন ও নিপীড়ন চালিয়েছিল বলে জানানো হয় ওই ফ্যাক্ট শিটে।

মানচিত্রটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে এক বিবৃতিতে নিউজিল্যান্ডের ইসরায়েল ইন্সটিটিউটের পরিচালক অ্যাশলে চার্চ বলেন, ওই মানচিত্রে পুরোপুরি আধুনিক ইসরায়েলকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সঙ্গে মিলিয়ে সুস্পষ্টভাবে একটি ভুল করা হয়েছে। যা অবিশ্বাস্য এবং আক্রমণাত্মক একটি ঘটনা। নিউজিল্যান্ড ইমিগ্রেশনের এই ঘটনাটি কিছুটা এমন যে, ওয়েলস ও স্কটল্যান্ডকে বাদ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মানচিত্র প্রদর্শন এবং ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জকে সম্পূর্ণরূপে ইংল্যান্ডে অংশ হিসেবে ঘোষণা করার মতো।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আক্রমণাত্মক ওই ছবির জন্য নিউজিল্যান্ডের অভিবাসন মন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়া উচিত এবং এই ঘটনার মধ্য দিয়ে যে সরকারের কোন নীতিমালা প্রভাবিত হচ্ছে না তাও নিশ্চিত করা উচিত। এর বাহিরে ইমিগ্রেশন নিউজিল্যান্ডকে বিবৃতি দিতে হবে যে, তারা মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রতিফলিত করে না। এছাড়াও এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে ব্যবস্থা গ্রহণসহ কে বা কারা এই ঘটনার জন্য দায়ী তা তদন্ত করে খুঁজে বের করতে হবে।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ব্যাপক সমালোচনার মুখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ওয়েব সাইটটি থেকে ইতোমধ্যেই এ সংক্রান্ত তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে। যদিও ওই মানচিত্রের কিছু স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।