শর্তসাপেক্ষে ছাত্রদলের আন্দোলন স্থগিত

কমিটি গঠন নিয়ে বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলে সৃষ্ট জটিলতা নিরসন হয়নি। তবে সম্মেলনকে সামনে রেখে সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ফরম বিক্রি বন্ধ রাখার শর্তে শনিবার পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করেছে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ইখতিয়ার রহমান কবির।

ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধদের আন্দোলন

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দুটি বৈঠক হয়। প্রথমে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা বৈঠকে বসেন। এতে স্কাইপের মাধ্যমে লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সংযুক্ত হন।

পরে আন্দোলনরত ছাত্রদল নেতাকর্মীদের একটি প্রতিনিধিদলকে খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে ডেকে সমস্যা সমাধানে শনিবার পর্যন্ত সময় চাওয়া হয়। একইসঙ্গে শুক্রবার যথারীতি সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ফরম বিক্রি করা হবে বলে জানানো হয়। বিএনপি নেতাদের এ সিদ্ধান্তে সম্মত হন আন্দোলনরত নেতারা।

ওই বৈঠককে ‘ফলপ্রসূ’ আখ্যায়িত করে ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ইখতিয়ার রহমান কবির বলেন, শনিবার পর্যন্ত প্রার্থীদের মাঝে ফরম বিতরণ স্থগিত করা হয়েছে। তাই শুক্রবার ও শনিবার আমদের আন্দোলন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এদিকে আন্দোলনরত ছাত্রদলের আরেক নেতা করিম সরকার জানান, বয়সসীমা শিথিল করা, ঘোষিত তফসিল প্রত্যাহার এবং বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনরত নেতাদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন বিএনপি নেতারা। তাতে সমস্যার সমাধান না হওয়ায় আন্দোলন চলবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে অবস্থান কর্মসূচি চলার মধ্যেই বিএনপি কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় আন্দোলনরতরা। এছাড়া কার্যালয়ের সিসি ক্যামেরাও ভেঙে ফেলা হয়। পরে বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস এসে সন্ধা পর্যন্ত সময় চেয়ে রাতে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। এরপর কার্যালয় ছাড়েন ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধরা।