এরশাদের চার সন্তানের কে কোথায়?

সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বার্ধক্যজনিত কারণে আজ রোববার সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে মারা গেছেন। এরশাদের মৃত্যুর পর তার দল জাতীয় পার্টির হাল ধরবেন তারই ছোট ভাই জি এম কাদের। আর জাতীয় সংসদে দলীয় উপনেতার দায়িত্ব পালন করবেন রওশন এরশাদ। মৃত্যুর আগে এমনটাই বলে গিয়েছেন এরশাদ।

অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো যখন দলনেতার সন্তানকে দলীয় সর্বোচ্চ পদে আসীন করতে ব্যস্ত তখন জাতীয় পার্টিতে এমন কোনো পদক্ষেপ নেই। স্বভাবতই প্রশ্ন, এরশাদের সন্তানরা কে কোথায়?

সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তিন ছেলে এক মেয়ের পিতা। তারা হলেন- রাহগির আল মাহি এরশাদ, এরিক এরশাদ, আরমান এরশাদ ও জেবিন এরশাদ। এরশাদ তার আত্মজীবনী ‘আমার কর্ম আমার জীবন’ গ্রন্থে এই তথ্য উল্লেখ করেছেন।

১৯৮৩ সালে স্ত্রী রওশন এরশাদের পুত্র জন্ম দেওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়। সেই ছেলের নাম রাহগির আল মাহি এরশাদ (শাদ এরশাদ)। তরুণ বয়সেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়া শাদ একসময় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারও হন। পরে মালয়েশিয়ায় পড়াশোনা করে এসে বর্তমানে ঢাকাতেই বাস করছেন।

এরশাদের পালিত মেয়ের নাম জেবিন এরশাদ (৩৫)। ব্যবসায়িক এক ছেলের সাথে বিয়ে হওয়া এই মেয়ে পরিবারসহ এখন লন্ডনে থাকেন।

জাপা চেয়ারম্যানের আরেক পালিত ছেলের নাম আরমান এরশাদ (২৫)। এই ছেলে বাবার সাথেই বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কে থাকেন।

এরশাদের ছোট ছেলের নাম এরিক এরশাদ (১৮)। তিনিও বাবার সাথে বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কে থাকেন। গান-বাজনায় বিশেষ পারদর্শী এই এরিকের মা হলেন বিদিশা এরশাদ। বিয়ের মাত্র কয়েক বছর পর ২০০৫ সালে বিচ্ছেদ হয় তাদের।

সে সময় এরিকের দখল নিয়ে এরশাদ ও বিদিশার যুদ্ধ আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল। শেষ পর্যন্ত মামলায় এরশাদ জিতে যান। বলা হয়, এরশাদের সবচেয়ে প্রিয় সন্তান হলেন এরিক। মৃত্যুর আগে তার নামে বেশ কিছু সম্পদ লিখে দিয়ে গেছেন তিনি।

এরিক প্রসঙ্গে এরশাদ এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‌‘রাজনৈতিক ব্যস্ততার কারণে এরিককে আমি সময় দিতে পারিনি। এরিক যখন আমার জীবনে আসে, তখন সে মাত্র দুই বছরের শিশু। সে স্নেহবঞ্চিত সন্তান। ছেলেবেলা থেকে মাতৃস্নেহ পায়নি। আমিও আমার অপর সন্তান জাতীয় পার্টি নিয়ে ব্যস্ত থেকেছি সব সময়। ওকে স্নেহ-ভালবাসা দিতে পারিনি, বঞ্চনা করেছি।’