সমুদ্রপথে আসছে গরু

আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ভারতীয় গরু আমদানি বন্ধ রয়েছে। সীমান্তেও বেশ কড়াকড়ি থাকায় চোরাইপথে ঢুকতে পারছে না তেমন একটা গরু। তবে এ সুযোগে প্রতিবেশি দেশ মিয়ানমার থেকে সমুদ্রপথে আসছে বিপুল পরিমাণে গরু ও মহিষ। গত দুইদিনে শাহপরীর দ্বীপ করিডর দিয়ে বৈধ পথেই এসেছে ২ হাজার ৮২৮টি গবাদিপশু।

শুল্ক স্টেশন তথ্যমতে, মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্কের ঘাটতি ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে বেশ কিছুদিন ধরে সেখান থেকে পশু আমদানি বন্ধ ছিল। তবে এখন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে সমুদ্রপথে স্রোতের মতো আসছে গবাদিপশু। আমদানির পর এসব গরু-মহিষ পাইকারি দামে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন কক্সবাজার ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার বেপারিরা

জানা যায়, গত দুইদিনে মিয়ানমার থেকে সমুদ্রপথে গরু এসেছে ২ হাজার ২১২টি এবং মহিষ এসেছে ৬১৬টি। এর বিপরীতে ১৩ লাখ ১৪ হাজার টাকা রাজস্ব পেয়েছে সরকার। এর আগে জুলাই মাসে মিয়ানমার থেকে গরু-মহিষ এসেছে ১০ হাজার ৯৫টি। যেখানে গত বছরের ঈদে এসেছিলো ৫ হাজার গরু-মহিষ। অর্থাৎ গতবারের তুলনায় এবার আমদানি হয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। এছাড়া চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত এসব পশু আমদানি থেকে রাজস্ব আয় হয়েছে ২ কোটি ২১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।

পশু আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম জানান, মিয়ানমার থেকে বছর জুড়েই শাহপরীর দ্বীপের করিডর দিয়ে গবাদিপশু আমদানি করা হয়। তবে কোরবানির ঈদে বাড়তি চাহিদা থাকায় ব্যবসায়ীরা অধিক পরিমাণ গরু-মহিষ আমদানি করেন। এসব গবাদিপশু স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালীসহ সারাদেশে সরবরাহ করা হয়।

আরেক পশু আমদানিকারক মোহাম্মদ সোহেল জানান, গতকালও দুটি ট্রলারে করে প্রায় আড়াইশ গরু-মহিষ আমদানি করেছেন তিনি। ঈদের আগে আগে আরও কয়েক হাজার গরু-মহিষ আমদানির চিন্তাভাবনা রয়েছে তার।

বিজিবি সদস্যরাও খেয়াল রাখছেন মিয়ানমার থেকে সমুদ্রপথে গবাদিপশু আমদানিতে যাতে কোনো সমস্যা না হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল ফয়সল হাসান।