কলকাতায় দুই বাংলাদেশি নিহত: ভারতীয় ব্যবসায়ীর ছেলে আটক

চোখের চিকিৎসায় ভারতের কলকাতায় গিয়ে লাউডন স্ট্রিটে দ্রুতগতির গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ হারান মইনুল আলম ও ফারহানা ইসলাম তানিয়া নামের দুই বাংলাদেশি। শুক্রবার রাত ২টায় ঘটা এ দুর্ঘটনায় জিয়াদ নামে তাদের আরেক আত্মীয় গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় ওই ঘাতক গাড়ির চালক স্থানীয় শীর্ষস্থানীয় এক ব্যবসায়ীর ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ।

সংবাদ প্রতিদিনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আটককৃতের নাম আরসালান পারভেজ। তিনি কলকাতার বিখ্যাত রেস্তোরাঁ আরসালানের মালিকের ছেলে। তিনি ১০০ কিলোমিটার গতিতে জাগুয়ার গাড়ি চালাচ্ছিলেন। গাড়িটি লাউডন স্ট্রিটের কাছে এসে নিয়ন্ত্রণ হারালে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দ্রুতগতির গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাফিক ছাউনিতে ধাক্কা মারে। সেখানে বৃষ্টির কারণে রাস্তার পাশেই আশ্রয় নেয়া তিন বাংলাদেশি পিষ্ট হন। তাদের মধ্যে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয় এবং অপরজন গুরুতর আহত হন।

এ ঘটনা ঘটানোর পর গাড়িটি একটি মার্সিডিজকে ধাক্কা দিলেও তার যাত্রীরা বেঁচে গেছেন। তদন্তের পর জাগুয়ারের চালক আরসালান পারভেজকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে বেপরোয়া গাড়ি চালানো এবং অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে।

জানা গেছে, ২২ বছর বয়সী পারভেজ ২০১৭ সালে গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন নেন। অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্ত মার্সিডিজটির মালিক একটি তেল কোম্পানি।

প্রসঙ্গত, চোখের সমস্যা নিয়ে কলকাতায় চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন মো. মইনুল আলম। সঙ্গে ছিলেন তার বন্ধু ফারহানা ইসলাম তানিয়া এবং ফুফাতো ভাই জিয়াদ। কিন্তু বেপরোয়া গাড়ি কেড়ে নেয় মইনুল ও তানিয়ার জীবন। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন জিয়াদ।