আনুষ্ঠানিকভাবে স্বকীয়তা হারালো কাশ্মির

কাশ্মিরের ইতিহাসটা পাল্টে গেছে গত ৫ আগস্ট। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে তার যাত্রা শুরু হলো আজ ২৫ আগস্ট। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় থেকেই কাশ্মিরের নিজস্ব একটা ইতিহাস ছিল, যা হরণ করেছে ভারত, সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের মাধ্যমে।

কাশ্মিরিদের সেই স্বকীয়তা তথা নিজস্বতার প্রতীক ছিল একটি স্বতন্ত্র পতাকা। আজ থেকে সেই পতাকা শুধুই ইতিহাস। কারণ আজ রোববার থেকে জম্মু-কাশ্মিরের নিজস্ব পতাকা সরিয়ে উড়ানো হলো ভারতীয় পতাকা। আর এর মাধ্যমে রাজ্যটির স্বায়ত্তশাসনের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটলো। রচিত হলো নতুন ইতিহাস।

ভারতীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর এই প্রথম কাশ্মিরের সরকারি ভবনগুলি থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো জম্মু-কাশ্মিরের নিজস্ব পতাকা৷ তার বদলে সেখানে উড়লো ভারতীয় তেরঙা৷

জম্মু-কাশ্মিরের প্রশাসন সূত্রের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, এবার থেকে কাশ্মিরের সরকারি ভবনগুলিতে ভারতের জাতীয় পতাকাই দেখা যাবে৷ অন্য কোনো পতাকা নয়৷

প্রসঙ্গত, দেশভাগের পর থেকে সাংবিধানিক আইনের বলেই আলাদা পতাকা নিয়ে এতদিন কাটিয়েছেন নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলওসি) দুই পারের কাশ্মিরিরা৷ ভারত সাংবিধানিক আইনটি প্রত্যাহার করায় অবস্থার পরিবর্তন হয় জম্মু-কাশ্মিরে৷ সেইসঙ্গে আর বিশেষ পতাকা রইল না। অথচ এই পতাকা এতদিন ভারতের জাতীয় পতাকার সমান মর্যাদা পেত। তবে পাক নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরিদের এখনও নিজস্ব পতাকাই রয়েছে।

উল্লেখ্য, ৩৭০ ধারা বাতিলের ফলে রাজ্যের মর্যাদা হারিয়ে দুটি অঞ্চলে ভাগ হয়েছে জম্মু-কাশ্মির। একটি হলো বিধানসভা বিশিষ্ট কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মির। আর বিধানসভা ছাড়া কেন্দ্র নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল লাদাখ।