মমতা: এনআরসির উদ্দেশ্য অসৎ, বাঙালিদের জন্য আপসোস

আসামের নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে শুরু থেকেই সরব ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। শনিবার চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পরও সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখলেন। এনআরসির পেছনে মোদি সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে কটাক্ষ করলেন এদিন।

মমতা বললেন, এনআরসি বিভ্রাট ওদের মুখোশ খুলে দিয়েছে। এর থেকে ওরা রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে গিয়েছিল। গোটা দেশ জবাব চাইবে ওদের কাছে। সেইসঙ্গে এনআরসি নিয়ে বাংলার মানুষকেও কার্যত বার্তা দিতে চাইলেন মমতা।

ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, শনিবার সন্ধ্যায় টুইট করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, অসৎ উদ্দেশ্যে এনআরসি করে সমাজের এবং দেশের বৃহত্তর স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়েছে বিজেপি সরকার। যে সমস্ত বাঙালির নাম এনআরসি তালিকা থেকে বাদ গেছে, বিশেষ করে তাদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর খারাপ লাগছে বলে টুইটে উল্লেখ করেছেন তিনি।

এর আগে শনিবার সকালে আসাম সরকার এনআরসির চূড়ান্তা তালিকা প্রকাশ করে। সেখানে দেখা যায়, প্রাথমিক তথা খসড়া তালিকা থেকে ৩ কোটি ১১ লাখ লোকের নাম চূড়ান্ত তালিকায় স্থান পেয়েছে। আর বাদ পড়েছে ১৯ লাখের বেশি মানুষের নাম। যাদের সিংহভাগই মুসলমান।

এর আগে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় নাগরিক পঞ্জির খসড়া তালিকা প্রকাশের পরই সংসদীয় দলকে আসামে পাঠিয়েছিলেন মমতা। কিন্তু প্রতিনিধি দলকে বিমানবন্দরের বাইরেই বেরোতে দেয়নি আসাম প্রশাসন। বিমানবন্দরের লাউঞ্জে রাত কাটিয়েই পরের দিন সকালের বিমান ধরে কলকাতায় ফিরে আসতে হয় তৃণমূলের ওই প্রতিনিধি দলকে।

তার পর বিশপদের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দিল্লি গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে দেখা করেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে। ক্ষোভ প্রকাশ করেন আসামের মানুষের অবস্থা এবং তার দলীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে আসাম প্রশাসনের ব্যবহার নিয়ে।