চীনের ‘কালো তালিকায়’ বাংলাদেশের ৫ ব্যাংক

চীন থেকে আমদানিকৃত পণ্যের মূল্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে না পারায় বাংলাদেশের বেসরকারি পাঁচ ব্যাংককে 'কালো তালিকাভুক্ত' করেছে সে দেশের সরকার। এর ফলে বাংলাদেশের এই পাঁচ ব্যাংকের সঙ্গে সকল ধরনের লেনদেন কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে চীনা ব্যাংকগুলো। সম্প্রতি বাংলাদেশের চীনা দূতাবাসের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ প্রকাশ করা হয়।

চীনের 'কালো তালিকাভূক্ত' এই পাঁচ ব্যাংক হলো- পদ্মা ব্যাংক (সাবেক ফারমার্স ব্যাংক), ইসলামী ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক।

চীনা দূতাবাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই নোটিশে বলা হয়, 'কালো তালিকাভূক্ত' বাংলাদেশের পাঁচ বেসরকারি ব্যাংক চীন থেকে পণ্য আমদানি করে সময়মতো মূল্য পরিশোধ করতে পারছে না। এর ফলে ক্ষতির মুখে পড়ছেন চীনের ব্যবসায়ীরা। তাই বাংলাদেশের এই পাঁচ ব্যাংকের সকল ঋণপত্র গ্রহণের বিষয়ে চীনের ব্যাংক ও ব্যবসায়ীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, দেশের মোট আমদানিকৃত পণ্যের এক-চতুর্থাংশই আসে চীন থেকে। ব্যবসায়ীরা চীন থেকে পোশাক তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম, কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি, সিরামিক, শিশুদের খেলনাসহ আরও বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র আমদানি করে থাকে।

এ ব্যাপারে দেশের ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, সম্প্রতি চীনে গড়ে ওঠা একটি প্রতারক চক্র দেশটির বিভিন্ন ব্যাংকের সহায়তায় রপ্তানি ঋণপত্র গ্রহণ করে ঠিকঠাকমতো পণ্য পাঠাচ্ছে না। এমনকি মাঝে মাঝে খালি কনটেইনার আসার ঘটনাও ঘটছে। এছাড়াও বাংলাদেশের বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানির কোন নথি না থাকা সত্ত্বেও তারা পণ্যের আমদানি মূল্য দাবি করছে।

তারা আরও জানান, এসব ঘটনায় আদালতে মামলা চলছে, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত করছে। এরপরও চীন সরকার জোরপূর্বক দেশের পাঁচ ব্যাংককে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। প্রায় বছর দশেক আগে ভারতের কয়েকটি ব্যাংকও একই ধরনের সমস্যায় পড়েছিল।