ধর্মীয় বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে হচ্ছে ‘পবিত্র বন’

পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে যেকোনো ভূখণ্ডের যে অন্তত ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা দরকার সেটা কারো অজানা নয়। কিন্তু তার পরও প্রতিনিয়ত পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাচ্ছে বন। যার ভয়ংকর প্রভাব পড়ছে পরিবেশের ওপর। আর এতে পরিবর্তন হচ্ছে জলবায়ু এবং উষ্ণ হচ্ছে পৃথিবী। যার ভবিষ্যত ক্ষতি সম্পর্কে আগেই সতর্ক করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

অবশ্য এ থেকে বাঁচতে দুনিয়ার সর্বত্র বনভূমি বাড়ানোর উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সামান্য।

যাই হোক, বনভূমি বাড়াতে এবার ধর্মীয় বিশ্বাসকে কাজে লাগানোর অভিনব কৌশল করা হয়েছে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে। এই প্রক্রিয়ায় সেখানে গড়ে তোলা হচ্ছে ‘স্যাক্রেড ফরেস্ট’ বা ‘পবিত্র বন’।

খবরে বলা হয়েছে, ভারত সরকারের ফরেস্ট রিসার্চ ফর লাইভলিহুড এক্সটেনশনের ত্রিপুরা শাখা, ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ ফর সাস্টেইনেবল অ্যাডভান্সমেন্ট (দিশা) এবং খুম্পই বুরিবদল নামে একটি এনজিও যৌথভাবে রাজ্যের পশ্চিম জেলার শিপাহীপাড়া গ্রামে তৈরি করছে একটি ‘স্যাক্রেড ফরেস্ট’।

ফরেস্ট রিসার্চ ফর লাইভলিহুড এক্সটেনশনের ত্রিপুরা শাখার পরিচালক পবন কুমার কৌশিক গণমাধ্যমকে বলেন, ভারতের অনেক এলাকাতেই ‘স্যাক্রেড ফরেস্ট’ রয়েছে। আশপাশের এলাকার জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করেই এ বন গড়ে তোলা হয়। এতে বিভিন্ন ধরনের গাছপালাসহ পশুপাখি সংরক্ষিত থাকে।

অন্যদিকে, দিশা’র সভাপতি দেবাশিষ চক্রবর্তী বলেন, ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে এ বন থেকে মানুষ কোনো কিছু নেবে না। ফলে বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা সংরক্ষিত থাকবে, যা একদিন জাতীয় সম্পদে পরিণত হবে।

খুম্পই বুরিবদল এনজিওর সম্পাদিকা দীপালি দেববর্মা জানান, প্রায় আড়াই বিঘা জমিতে এ ‘পবিত্র বন’ গড়ে তোলা হচ্ছে।

খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যেও ধীরে ধীরে সচেতনতা গড়ে উঠছে। তারাও আগ্রহ দেখাচ্ছেন এ ধরনের বন সংরক্ষণে, স্বেচ্ছায় সহায়তাও করছেন অনেকে।