কাতারে ইমাম-মুয়াজ্জিন হওয়ার সুযোগ

মধ্যপ্রাচ্যের সমৃদ্ধ দেশ কাতার। সৌদির পরই বাংলাদেশি শ্রমিকদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে দেশটি। তেলসমৃদ্ধ দেশ কাতারে মসজিদের সংখ্যা আড়াই হাজারেরও বেশি। মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশি আলেম-হাফেজদের কদর বরাবরই উল্লেখ করার মত।

বলা যায়, কাতারের মুসল্লিরা বাঙ্গালি ইমামদের খুবই পছন্দ করেন। যারা কাতারে ইমাম-মুয়াজ্জিন হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন, তাদের জন্য এসেছে নতুন সুযোগ। ইন্টারভিউর মাধ্যমে কাতারে ইমাম-মুয়াজ্জিন পদে নিয়োগ পেতে কী করণীয় জেনে নিন এই লেখা থেকে।

রেজিস্ট্রেশন শুরু ১লা অক্টোবর

আসছে অক্টোবর মাসের ১ তারিখে রাজধানীর মোহম্মদপুর কেন্দ্রীয় কবরস্থান মসজিদে স্বশরীরে হাজির থেকে রেজিস্ট্রেশনের কাজ সম্পন্ন করতে হবে। অন্যান্য বারের চেয়ে এবারের রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিতে একটু ভিন্নতা এসেছে। অন্যবার রেজিস্ট্রেশনের জন্য ফরম বিতরণ করা হতো। এবার ফরম নয় সরাসরি কাগজপত্র জমা দিয়ে সাক্ষাতকারের জন্য সিরিয়াল নিতে হবে। সিরিয়াল নেয়ার অর্থাৎ রেজিস্ট্রেশন করার শেষ তারিখ ৩ অক্টোবর ২০১৯।

৪-১৬ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে সাক্ষাৎকার গ্রহণ

রেজিস্ট্রেশন শেষ হওয়ার পরদিনই অর্থাৎ ৪ তারিখ থেকে সিরিয়াল অনুযায়ী প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেয়া হবে। এ সময় নতুন করে কোনো প্রার্থী রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন না। সাক্ষাৎকারে মনোনীত প্রার্থীরা চূড়ান্ত পর্বের জন্য নির্বাচিত হবেন। 

আবেদনের যোগ্যতা

কাতারের ইমাম-মুয়াজ্জিন হতে চাইলে প্রার্থীকে কোরআনের হাফেজ হওয়া আবশ্যক। স্বীকৃত ইসলামি শিক্ষালয় থেকে ডিগ্রীধারী আলেম হতে হবে। আলেম হওয়ার প্রমাণ স্বরূপ ইসলামী শিক্ষালয়ের প্রত্যয়ন পত্র দেখাতে হবে। ২০ থেকে সর্বোচ্চ ৪০ বছরের প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

প্রার্থীর দুই কপি রঙিন ছবি, জন্মসনদ, শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদ এবং পাসপোর্টসহ সব কাগজ যথাযথ কতৃপক্ষের মাধ্যমে সত্যায়িত করিয়ে জমা দিতে হবে। প্রার্থীর যদি বিশেষ কোনো যোগ্যতা থাকে তাও আবেদনপত্রে উল্লেখ করা যাবে। এছাড়াও প্রার্থীর কোনো অতিরিক্ত সার্টিফিকেট থাকলে যেমন, কেরাত প্রতিযোগিতা কিংবা আজান প্রতিযোগিতায় প্রথম-দ্বিতীয়-তৃতীয় অর্জন- ইত্যাদি সনদও যোগ করা ভালো। এগুলো প্রার্থীকে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রাখে।

প্রস্তুতি পর্বে যা করণীয়

সাক্ষাৎকারে পবিত্র কোরআন কতটা বেশি মুখস্থ আছে তা যাচাই করা হবে। তাই কোরআন মুখস্থে দুর্বল থাকা চলবে না। এসব সাক্ষাৎকারে সুমধুর তেলাওয়াতকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়। স্বপ্নের দেশ কাতারে ইমাম-মুয়াজ্জিন হতে চাইলে অবশ্যই তেলাওয়াতে মাধুর্য থাকতে হবে। তাজবিদ সম্পর্কে জানাশোনা থাকা জরুরি। এছাড়াও ইসলামি শরিয়ত এবং নামাজের বিভিন্ন মাসআলা সম্পর্কে গভীর ধারণা থাকা চাই।