আপনি পড়ছেন

ভর্তি ফরমের মূল্যবৃদ্ধি, বিতর্কিত শিফট পদ্ধতি ও পরিক্ষার ফি অনুষদভিত্তিক না হয়ে বিভাগভিত্তিক আলাদা ফিসহ নানা বিতর্কের মধ্যেই আজ শুরু হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের (স্নাতক) ভর্তি পরীক্ষা।

ju newজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

ভর্তি যুদ্ধে জাবিতে এ বছর ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৯৬২ জন শিক্ষার্থী অংশ নিবে। এর মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে আবেদনকারীর সংখ্যা ৬৮ হাজার ৮৯৫ জন। ‘বি’ ইউনিটে অংশ নিবে ৪৯ হাজার ৮৩৩ জন, ‘সি’ ইউনিটে ৬০ হাজার ৬১৫ জন, ‘সি-১’ ইউনিট ৯ হাজার ২৬৮ জন, ‘ডি’ ইউনিটে ৭৬ হাজার ৫৪০ জন এবং ‘ই’ ইউনিটে অংশ নিবে ২০ হাজার ৮৫৬ জন শিক্ষার্থী। তবে এফ, জি, এইচ, আই ইউনিট থেকে কতজন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ভর্তি আবেদন ফি বাবাদ ‘এ’ ইউনিট থেকে সংগ্রহ হয়েছে ৪ কোটি ৩৩ লাখ ৩৭ হাজার টাকা। এছাড়া ‘বি’ ইউনিট থেকে প্রায় ২ কোটি ৯০ লাখ, ‘সি’ ইউনিট থেকে প্রায় ৩ কোটি ৬৪ লাখ, ‘সি-১’ ইউনিট থেকে ৩৭ লাখ, ‘ডি’ ইউনিট থেকে ৪ কোটি ৬০ লাখ, ‘ই’ ইউনিট থেকে ১ কোটি ২৫ লাখ, ‘এফ’ ইউনিট থেকে ১ কোটি ৪০ লাখ, ‘জি’ ইউনিট থেকে ৩৬ লাখ, ‘এইচ’ ইউনিট থেকে ৭৯ লাখ এবং ‘আই’ ইউনিট থেকে সংগ্রহ হয়েছে ৩৮ লাখ টাকা।

জাবির অ্যাকাউন্টস সুত্রে জানা যায়, ভর্তির আবেদনপত্র বিক্রি থেকে এবার মোট সংগ্রহ হয়েছে প্রায় বিশ কোটি টাকা। পরীক্ষা বাবাদ খরচ হতে পারে ৮ কোটি টাকা। সেক্ষেত্রে ১২ কোটি টাকা অবশিষ্ট থাকতে পারে।

প্রচুর সংখ্যক শিক্ষার্থীর ভর্তির আগ্রহ ও ফরমের মূল্য বৃদ্ধির কারণে এবার এই বিপুল পরিমাণ টাকা জমা হতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টে।

উল্লেখ্য, ২০১৮-১৯ সেশনে ১৮৮৯ আসনের বিপরীতে জাবিতে আবেদন করেছিলো ৩ লাখ ৬ হাজার ২৭৪ জন শিক্ষার্থী। আয় হয়েছিলো ১৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা। খরচ বাদ দিয়ে অবশিষ্ট ছিল ৯ কোটি টাকা।