কুয়াকাটা সৈকতে মাতালদের উৎপাত, বিব্রত পর্যটকরা

পর্যটকদের কাছে ‘সাগরকন্যা’ হিসেবে পরিচিত কুয়াকাটায় প্রতিদিনই বেড়ে চলছে মদ্যপের সংখ্যা। ফলে স্বভাবতই বিব্রত হয়ে পড়ছেন পর্যটকরা। বিশেষ করে নারী ও শিশুরা এই সমস্যায় বেশি সম্মুখীন হচ্ছেন। অভিযোগ পেলে তবেই দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানালেন ট্যুরিস্ট পুলিশ।

‘সাগর কন্যা’ হিসেবে পরিচিত কুয়াকাটার একটি দৃশ্য

প্রতিদিন প্রচুর সংখ্যক মানুষ স্বস্তির খোঁজে কুয়াকাটায় আসেন। পর্যটকরা সাগর সৈকত ও বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে, সমুদ্রস্নান করে সময় কাটান। এ সময় তাদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে ভাসমান মাছের দোকান। বিভিন্ন প্রজাতির মাছের স্বাদ নিতে নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণী, ছোট-বড় সবাই ভিড় জমান। এ সময় সেখানে কিছু মাতাল লোকেরও সমাগম ঘটে। তারা বিভিন্নভাবে চিৎকার, চেচামেচি করে পরিবেশ নষ্ট করে থাকেন।

দোকানগুলোতে খেতে এসে নানারকম অসৌজন্যমূলক আচরণ করে মদ্যপরা। তাদের চিৎকারে পুরো এলাকায় বিরক্তিকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এতে উপস্থিত শিশুদের ভয় পেতে দেখা যায়।

গতকাল রাতেও এমন দৃশ্যের অবতারণা ঘটে। সেখানে দেখা যায়, প্রায় অর্ধশত মানুষ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের স্বাদ নিতে সৈকতে অবস্থান করছেন। এমন সময় একটি বাইকে করে একজন লোক এসে ফ্রাই দিতে বললে কিছুটা বিলম্ব হয়, এতে তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করেন।

সৈকতের ব্যবসায়ী জাহিদ বলেন, প্রতিদিনই এ রকম কিছু মাতাল এসে চিৎকার, চেচামেচি ও কুরুচিপূর্ণ আচরণ করে থাকেন। আমরা তাদের ভয়ে কিছু বলি না। আর কিছু বললে তারা আমাদের মারতে আসেন।

রাকিব নামে এক পর্যটকের নিজ অভিজ্ঞতা থেকে জানান, মাস খানেক আগে কয়েকজন বন্ধুসহ কুয়াকাটায় আসি। দুদিন রাতে আমরা ফিসফ্রাই খেতে যাই। দুদিনই মাতালরা এসে সেখানে পাগলামি করে। এ ঘটনায় বেশ কিছু পর্যটক ভয়ও পেয়েছে।

পর্যটকরা বলছেন, এই ধরনের সমস্যার যদি দ্রুত সমাধান না করা যায় তাহলে ক্রমেই পর্যটক সংখ্যা কমতে থাকবে কুয়াকাটায়। আর এতে বিপর্যয়ে পড়তে পারে কুয়াকাটার পর্যটন খাত।

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. খলিলুর রহমান বলেন, আমরা এ ধরনের অভিযোগ আগে পাইনি। যেহেতু আপনার কাছ থেকে বিষয়টি অবগত হলাম তাই অবশ্যই সামনে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হবে।