প্রধানমন্ত্রী: দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে

দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি এবং মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছি। যদি কেউ অসৎ পথে অর্থ উপার্জন করে; অনিয়ম, উচ্ছৃঙ্খলতা বা অসৎ উপায় অবলম্বন করে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে। অপরাধী যেই হোক না কেন, আমার দলের হলেও তাকে কোন ছাড় দেয়া হবে না।’

শনিবার বিকেলে ম্যারিয়ট মারকুইজ হোটেলে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আরও অনেক উন্নত হতে পারতো, যদি প্রকল্পের প্রত্যেকটি টাকা যথাযথভাবে ব্যয় হতো। আমরা দুর্নীতির পেছনে যারা আছেন তাদের ধরার চেষ্টা করছি। কার আয়-উপার্জন কত, কারা কীভাবে জীবন-যাপন করে, সেগুলো বের করছি। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’

বিএনপি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের যখন উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তখন কিছু মানুষ অস্বস্তি হচ্ছে। তারা বিদেশিদের কাছে সরকারের বিরুদ্ধে অনবরত নালিশ করছে। আর গত নির্বাচনে বিএনপির আন্তরিকতার ঘাঁটতি ছিল। তারা মনোনয়ন বাণিজ্যেই ব্যস্ত ছিল। অন্যদিকে দেশের মানুষ আমার দলের ওপর আস্থা রেখেছে।’

তারেক রহমানকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেই দলের চেয়ারম্যান একজন অপরাধী, সেই দলকে মানুষ কেন ভোট দেবে। বিএনপি চেয়ারর্পান খালেদা জিয়ার এক ছেলে অর্থপাচারের দায়ে দণ্ডিত এবং অন্য ছেলে সিঙ্গাপুরে ক্যাসিনোতে খেলতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়।’

প্রবাসীরা যেন দেশে বিনিয়োগে আকৃষ্ট হয় সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে দেশের সকল ব্যাংক কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

সংবর্ধনায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন স্বাগত বক্তব্য রাখেন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, ১৫ আগস্টের হত্যাযজ্ঞে বঙ্গবন্ধু ও অন্যান্য শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপরই মূল পর্ব শুরু হয়।