শিয়াল জবাই করে মাংস ভাগাভাগি করে নিলো ৫ যুবক

লালমনিরহাট জেলায় একটি শিয়াল জবাই করে মাংস ভাগাভাগি করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ৫ যুবকের বিরুদ্ধে। বুধবারের  এ ঘটনায় জেলার হাতীবান্ধা থানায় অভিযুক্ত ৫ জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন জেলা ভারপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা নূরনবী বাদল।

শিয়াল

জানা যায়, গত শনিবার জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার গেন্দুকুড়ি এলাকায় একটি শিয়াল জবাই করে সেটি গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে কেটে মাংস ভাগাভাগি করে নেয় স্থানীয় কয়েকজন যুবক। পরে ওই ঘটনার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার শুরু হয়।

স্থানীয়রা জানায়, ওইদিন রাতে গেন্দুকুড়ি এলাকার আজাহার আলীর বাড়ি থেকে একটি পোষা ছাগল চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় শিয়ালটিকে আটক করে স্থানীয় কয়েকজন যুবক। পরে সেটি জবাই করে মাংস ভাগ করে নেন আজাহার আলীর ছেলে আবুল কালাম, ওই এলাকার সুরুজ জামালের ছেলে আলমগীর হোসেন ও আব্দুস ছামাদ ভূঁইয়ার ছেলে খোরশেদ আলমসহ বেশ কয়েকজন যুবক।

এ সময় শিয়াল জবাই ও গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে মাংস কাটার ছবি ও ভিডিও মোবাইলের মাধ্যমে ধারণ করে সামজিক যোগযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন একই গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে নায়েব আলী। শিয়ালের মাংস খেলে অনেক জটিল রোগ ভাল হয় এমন ভ্রান্ত ধারণা থেকেই তারা প্রাণীটির মাংস ভাগ করে নিয়েছেন বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।

শিয়াল জবাই করে মাংস ভাগাভাগি

এ বিষয়ে জেলা বন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) নূরনবী বাদল বলেন, শিয়াল জবাই করে মাংস ভাগাভাগি করার সংবাদ তার নজরে আসলে বুধবার ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত যুবকদের শনাক্ত করা হয়। পরে তাদের নামে ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে থানায় মামলা দায়ের করেন তিনি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সামিউল আমিন বলেন, তিনি ফেসবুকের মাধ্যমে ঘটনাটি সম্পর্কে জেনেছেন। খোঁজ নিয়ে ঘটনার সত্যতাও পেয়েছেন।

আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য উপজেলা বিট কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।